1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
July 27, 2024, 12:08 am

’হারুনের’ ঝুপড়ি পরিদর্শনে ইউএনও, জমিসহ ঘর দেওয়ার আশ্বাস

আসাদুজ্জামান সুমন, সিনিয়র প্রতিবেদক.
  • Update Time : Monday, July 12, 2021
  • 1042 Time View

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ইছামতির নদীর তীরের ঝোপের ভিতরের ঝুপড়ির ছোট্ট ছাপড়ায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করা নিঃসম্বল হারুনের ঝুপড়ি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু।

উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আগলা ব্রীজের পূর্ব পাশের ঢালের দক্ষিণে চৌকিঘাটা তরুণ সংঘের পেছনের ঝোপের নদীর তীরের ওই ছোট্ট ঝুপড়িতে থাকেন মো. হারুন (৪৬), তার স্ত্রী আছমা থাতুন (৪৩) ও তাদের একমাত্র মেয়ে সম্পা (১২)।

গত ৮ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) ১৫ বছর ঝুপড়িতে বাস, তবুও মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে প্রিয়বাংলা নিউজ২৪। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে হারুনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে ওই ঝোপের নদীর তীরের হারুনের ঝুপড়ি পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারটিকে করা হয় খাদ্য সহায়তা।

পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও সালাউদ্দিন মনজু বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে হারুনের এই বসবাসের স্থানটি আমরা পরিদর্শনে এসেছি। দীর্ঘদিন ধরে সে এই ঝুপড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। এর আগে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার জন্য জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে একটি ঘরের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু জমি না থাকায় তাকে ঘরটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর তাকে উপহার দিতে চাই। এজন্য এই প্রকল্পের উপজেলা কমিটির মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হারুন কোনো পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ভিক্ষাবৃত্তি করে তিনি অতিকষ্টে তার সংসার চালাচ্ছিল। আমরা চাইবো ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে সে যে কাজটি করে স্বাচ্ছন্দবোধ করে আয় করতে পারবে আমরা তাকে সে পেশায় সম্পৃক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য যদি তার পুঁজির প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও তাকে যথাসম্ভব সহযোগীতা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হারুনের মেয়ের লেখাপড়ার বিষয়ে ইউএনও সালাউদ্দিন মনজু বলেন, যেখানে তাদের বসবাসের জন্য জমিসহ ঘরের ব্যবস্থা করা হবে সেখানে হারুনের মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় ইউএনর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অরুণ কৃষ্ণ পাল, প্রকল্প কর্মকর্তা হাসান আহমেদ, বাহ্রা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাফিল উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, হারুন উপজেলার আগলা খাঁন হাটি গ্রামের মৃত কায়েম ও ছালেহা দম্পতির ছোট ছেলে। তার মানসিক সমস্যা থাকায় আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা তাকে পাগলা হারুন নামে একনামে চিনে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর ভিটে বিক্রি করার পর সব টাকা তার বড় ভাই নিয়ে চলে গেছেন। হতদরিদ্র হারুন মানুষের কাছে চেয়ে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরসহ বিভিন্ন সময় সাহায্য সহযাগীতা চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে হারুনের।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category