1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোটার.
  • আপডেট : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই পেশার ঝুঁকি অনেক। আপনাদের রিপোর্টিং এর কারণে একটি দেশ সুন্দর সুশৃঙ্খলায় পরিচালিত হয়। কিন্তু এতদিন ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আপনারা অনেক সংবাদই তুলে ধরতে পারেননি। তবে এখন থেকে দোহার নবাবগঞ্জের যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, নির্যাতন ও মাদকের আখড়া দেখবেন তা নির্ভয়ে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হোসেন খন্দকার। শুক্রবার নবাবগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন।

নবাবগঞ্জের সন্তান ড. আবুল হোসেন খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নাগরিক সমাজ দোহার নবাবগঞ্জ মাদকমুক্ত দেখতে চাই। যেখানে অন্যায় অবিচার অত্যাচার ও মাদকের আখড়া দেখতে পাবেন নির্ভয় সেসব বিষয় আপনাদের কলমের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। কেউ আপনাদের বাধা দিলে আমার কোনো সহযোগিতা লাগলে জানাবেন। আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন।

তিনি দোহার নবাবগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দোহার নবাবগঞ্জ থেকে মাদক র্নিমূল করতে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। মাদক,অন্যায় অবিচারের সঙ্গে প্রশাসনের কারো কারো জড়িত থাকার অনেক অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু আর শুনতে চাই না। আমরা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ দোহার নবাবগঞ্জ দেখতে চাই।

প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততায় যেন কোন অনিয়ম অবিচার না হয়। তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।

তিনি আরও বলে, এলাকার কোন স্কুল-কলেজের সামনে যেন কোনো বখাটেরা অবস্থান করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা তার বক্তৃতায় বলেন, ইছামতি নদী এখন নবাবগঞ্জের দুঃখ। এক সময় এই নদীতে প্রচুর পানি থাকতো। বর্ষা মৌসুমে মানুষকে বিনোদন দিতে আয়োজন করা হতো নৌকা বাইচ। কিন্তু এখন নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এই আয়োজনে ভাটা পড়েছে। সোনাবাজু বেরিবাধে ইছামতি নদীর মূল পয়েন্টে পাঁচটি স্লুইচগেট নির্মাণ করলেই নদীর এই দুরাবস্থার অবসান হবে। তিনি তার বক্তৃতায় আরও বলেন দোহার ও নবাবগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রবাসে পাঠানো গেলে দেশের রেমিটেন্স বাড়বে। এ কারণে দ্রুত বন্ধ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের কাজ চালু করা প্রয়োজন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ