ঢাকার দোহারে নাজমুল (২৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঁশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল উপজেলার ইকরাশি এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে বাঁশতলা বাজারে চা খাচ্ছিলেন নাজমুল। এসময় একটি মোটর সাইকেলে তিন যুবক এসে চায়ের দোকানে ঢুকে প্রকাশ্যে নাজমুলকে এলোপাথারি কুপাতে থাকে। নাজমুল নিস্তেজ হয়ে পরলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী মিলন নামে এক যুবকের দাবি, ঘাতকদের মধ্যে রনি নামে একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
নিহত নাজমুলের বড় ভাই নাসিরউদ্দিন বেপারী বলেন, তিনদিন আগে আমি ভোর বেলা কাজে বের হই। তখন সারে ৫টার মত বাজে। জামালচর বটতলার একটু সামনে সড়কে এসে দেখি রনি ও তার দুই সহযোগি এক মহিলার চেন ও মোবাইল ছিনতাই করতাছে। আমি বাড়িতে এসে আমার ছোট ভাই নাজমুলকে এঘটনা বলি। নাজমুল রনিকে এঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করে। এরপর দিনও দেখি একই জায়গায় ছিনতাই করছে রনি ও তার সহযোগিরা, ঐ দিনও আমি নাজমুলকে ঘটনাটি বলায় নাজমুল এঘটনায় অনেককে জানিয়ে দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে রনি। আমি ওর গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। ঘটনার সাথে জড়িত রনির বাবা চান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দোহার আর্মি ক্যাম্পের জেসিও জহিরুল ইসলাম জানান, এলাকার সাথে বলে জানতে পেরেছি রনি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রæতার জেরে নাজমুলকে হত্যা করেছে সে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম জানান, দুই মাস আগে রনিকে মারধর করেছিল নিহত নাজমুল। তখন একটি মামলা হয়েছিল নাজমুলের বিরুদ্ধে যা এখনো বিচারাধীন। এঘটনার জেরে এ হত্যা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.