ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এম এম সাইফুল ইসলাম রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
সকালে সালমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় করা পৃথক হত্যাচেষ্টার মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে আদালত দোহার থানার মামলায় তিন দিন এবং নবাবগঞ্জ থানার মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে পৃথক ছয়টি মামলায় সালমান এফ রহমানের ৩৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেন আদালত।
অপর দিকে সালমান এফ রহমানের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করার আরজি জানান। তাঁরা জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সালমান এফ রহমানকে দোহার থানার মামলায় তিন দিন এবং নবাবগঞ্জ থানার মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন দোহারের বাসিন্দা শাহজাহান মাঝি। গত ৪ আগস্ট দোহারের করম আলী মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন শাহজাহান। তখন মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যরা হামলা চালায়। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে ২৫ আগস্ট দোহার থানায় মামলা করেন তিনি। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সালমান এফ রহমানকে।
অন্যদিকে নবাবগঞ্জের বাসিন্দা ফাতেমা বেগমও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট সকাল ১০টার সময় নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে ছাত্র-আন্দোলনে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ অন্যরা। তখন তিনি আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলাও প্রধান আসামী করা হয় সালমান এফ রহমানকে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.