ডা. আরিফুর রহমান। পেশায় এমবিবিএস চিকিৎসক। ৪৫ বছর বয়সী এই চিকিৎসক নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে এরই মধ্যে একে একে বিয়ে করেছেন তিনটি। তবে শুক্রবার রাতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ঘাড়মোড়া এলাকায়।
দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকায় একটি বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বর আরিফুর রহমানকে আটক করে। ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আরিফুরকে ছয়মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ। এসময় কনের পিতাকেও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
আরিফুর রহমানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় সে পেশায় একজন চিকিৎসক। ২০০৬ সালে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মিটর্ফোড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমবিবিএস পাশ করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে ওই চিকিৎসকের আরও তিনি বিয়ের কথা। নিজের মুখে পুলিশের কাছে স্বীকারও করেন এরই মধ্যে বরিশালে দুইটি ও দোহারে একটি বিয়ে করেছেন আরিফুর। তবে এক বিয়ের কথা আরেক স্ত্রীকে জানাননি তিনি। তাঁর দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে বিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হন পুলিশ। আটকের খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে দোহার থানায় আসেন আরিফুরের বরিশালের এক স্ত্রীর ভাই। শনিবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ওই চিকিৎসকে।
সাজাপ্রাপ্ত ডা. মো. আরিফুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার মো. সিয়ামের ছেলে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.