1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

নবাবগঞ্জে কাঁচা রাস্তায় সীমাহীন দুর্ভোগ

শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ থেকে.
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১
  • ৭৯০ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে রাস্তাটি মেরামত না করায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিদিন বারুয়াখালী ইউনিয়নের নবগ্রাম ও পার্শ্ববতী জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিকাউর, তিতপালদিয়া ও সোনাবাজু এলাকার মানুষ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই কাঁদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা পানিতে একাকার। রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে সেখানে। এতে পায়ে হেটে চলাচল করাও এখন কষ্টসাধ্য। রাস্তাটি সংস্কারে মাঝে মাঝে কিছুটা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সামান্য বৃষ্টিতেই পুরনো চেহারা ফিরে পায়। এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমেও রাস্তাটি কয়েকবার মেরামত করেছেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে।

এলাকাবাসীর জানান, একের পর এক চেয়ারম্যান আর মেম্বার পরিবতন হলেও তাদের সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটি এখনো অবহেলিত। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য বাজারে নিতেও প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। এছাড়া রাস্তাটি দিয়ে দুটি মাধ্যমিক, দুটি উচ্চ মাধ্যমিক, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষাথী যাতায়াত করছে চরম দুর্ভোগে। শুষ্ক মৌসুমে কোনরকমভাবে চলাচল করলেও বর্ষা আর বৃষ্টির দিনে চলাচল করা অসম্ভব। সড়ক জুড়ে কাঁদা আর পানির কারনেই কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

নবগ্রাম এলাকার কলেজ ছাত্র সিফাত মল্লিক জানান, ছোটবেলা থেকেই সড়কটি এরকম দেখতেছি। শুষ্ক মৌসুমে ধূলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানি এভাবেই চলে আমাদের যাতায়াত। তারপর যদি একটু বৃষ্টি হয় তখন তো দুঃখের শেষ নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। একটা রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতেও আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নিবাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে আর বাস্তবায়ন হয় না।

ইজিবাইক চালক রাশেদ মল্লিক জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারি না। ইজিবাইক নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক কষ্টে চলাচল করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ বাতেন জানান, রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টের। রাস্তার মাঝখানে গর্ত আর কাঁদা পানির মধ্যেই আমাদের যাতায়াত করতে হয়।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তরুন কুমার বৈদ্য বলেন, কাঁচা সড়কগুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংস্কার কাজ করা হয়। এ সড়কের কাজ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আরিফুর রহমান শিকদার বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে আশা করি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ