ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার উঁচু জমিগুলোতে রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান রোপণে আগ্রহী উঠছে চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা আর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারনে সময় মতো ধান রোপণ করার ফলে অনেক কৃষককে এ বছর অন্য ফসল উৎপাদন বাদ দিয়ে আমন ধান রোপণ করতে দেখা গেছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, নয়নশ্রী, যন্ত্রাইল, শোল্লা, কৈলাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্রি-৪৯, ব্রি-৭৫, ব্রি-৮০, ব্রি-৮৭ জাতের রোপা আমন ধান লাগিয়েছেন চাষিরা। এ বছর ওই ৬ ইউনিয়নে ৩১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকরা জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজ শুরু করেছেন পুরোদমে।
উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের জৈনতপুর গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কম খরচে অধিক উৎপাদন হওয়ায় অনেকেই রোপা আমন ধান চাষে ঝুঁকছে।
উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের দীঘগ্রাম গ্রামের কৃষক লাল মিয়া জানান, ধানের দাম বাজার অধিক থাকায় এ বছর আমন ধান রোপন করছেন অধিকাংশ জমিতে। আরও অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে। তিনি আরও জানান, জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান সহ অন্য ধান রোপন করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে জমি তৈরির পর কৃষক রোপা আমন ধান রোপন করছেন। অতিরিক্তভাবে পানি সেচ ছাড়াই বৃষ্টির পানিতে রোপনকৃত চারাও ভালো হয়। এতে তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বিগত বছরের চেয়ে এবছর রোপা আমন চাষে কৃষকরা ঝুঁকছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান বলেন, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার উঁচু এলাকার জমিগুলো অলস পড়ে থাকে। তাই কৃষকদের রোপা আমন ধান রোপণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় আমন চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.