ঢাকার দোহারে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ‘চায়না দোয়ারি’ তৈরির পাঁচটি কারখানায় একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে নৌ পুলিশের একটি বিশেষ দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ পুলিশের এডিশনাল আইজি আতিকুল ইসলাম। এসময় কারখানাগুলো থেকে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার মূল্যের জাল জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজার ও জয়পাড়া বাজারের পাঁচটি কারখানায় অভিযান চালায় নৌ-পুলিশ। অভিযানে নৌ পুলিশ ও পুলিশের শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। রাত আটটার দিকে জব্দকৃত জালগুলো ট্রাকে তোলা হলে এসময় কারাখানাগুলোর শ্রমিকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তাদের কয়েকদফা ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
লটাখোলা নতুন বাজারের কারখানা মালিক আরিফ হোসেনের দাবি, এ জাল ইলিশ, জাটকা বা দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে না। তাছাড়া এ জাল তৈরি অবৈধ এমন কোন আইনি নির্দেশনা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এ কারখানাগুলোর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, লটাখোলা নতুন বাজারে তিনটি ও জয়পাড়া বাজারে দুটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১ হাজার ২৫০ বস্তা জাল জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
নৌ-পুলিশের এডিশনাল আইজি আতিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ ধরণের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে আমাদের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের ফলে কারেন্ট জাল এখন কমে গেছে। কিন্ত ‘চায়না ধোয়াইর’ একটি নতুন প্রযুক্তি। এটা ব্যবহারের ফলে মাছের পোনা থেকে শুরু করে ডিমও ধ্বংস হচ্ছে। যে কারণে আইনে এ ধরণের জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ আছে। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.