ঢাকার নবাবগঞ্জে সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) এনজিও’র নিখোঁজ দুই কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম (২৯) ও অভিজিৎ মালো (২৮)’র গুম করা লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের বিশেষ দল। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মুরগীর ফার্ম ও তার অটোরিকশা গেরেজের পেছনের ইছামতি নদীর তীর থেকে পাশাপাশি মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ।
নিহত এনজিও কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ফরিদপুর জেলার গৌরীপুর এলাকার গোলাম সারোয়ারের ছেলে, অভিজিৎ মালো একই জেলার নগরকান্দা উপজেলার আজিজা গ্রামের রণজিৎ মালোর ছেলে। তারা এনজিও সংস্থা এসডিসি’র চুড়াইন তালতলা শাখার মাঠ কর্মকর্তা ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের আনিসের ছেলে ও ওই এনজিও সদস্য ঋনগ্রহীতা ইউসুফ আলী (৩৫), একই গ্রামের বাসিন্দা ও ওই এনজিও আরেক সদস্য মুকলেছুর রহমানের ছেলে জনি (২৫) ও আইয়ুব আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
ওসি সিরাজুল প্রিয়বাংলা নিউজ ২৪কে জানান, নিহত ওই দুজনই সোসাইটি ডেভোলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) চুড়াইন শাখার ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে রাজিবুল গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর ও অভিজিৎ এ বছরের চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে দায়িত্ব পালনে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
রাজিবুলের নিখোঁজের বিষয়ে নিখোঁজের দিনই ওই প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ জিন্নাত আলী ও অভিজিৎ এর নিখোঁজের বিষয়ে নিখোঁজের দিনই ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক সমরেশ চট্টোপাধ্যায় থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে রাজিবুলের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়।
তাদের সন্ধানে পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল তদন্ত শুরু করলে এক পর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই তিনজনকে আজ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ও তাদের দেখানো ইছামতি নদীর তীরের ওই স্থানে পাশাপাশি মাটিচাপা দেওয়া ওই দুই এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের সহকর্মীরা এসে লাশ শনাক্ত করেছেন বলেন ওসি সিরাজুুল।
লাশ দুটোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে ও গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।
অভিজিৎ এর ঘটনায় থানায় আরও একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.