ঢাকার দোহার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক জয়পাড়া শাখার কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জয়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আঃ হালিম গত ১০.৬.২০২৪ ইং তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের কাছ থেকে ১-২৪৩১-০০০০-২৬৭১ কোডের টাইম স্কেলের অতিরিক্ত মূল বেতন ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ৩৪,৬৯৫ টাকা ফেরৎ প্রদানের ব্যাংক চালান কপি গ্রহণ করেন। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায় ফিরোজ আলমের দেয়া চালান কপি অনুযায়ী ব্যাংক রেজিস্টারে এমন কোন চালানের তথ্য নেই। এছাড়া চালান কপিতে সিল ও দুই কর্মকর্তার স্বাক্ষরই জাল জালিয়াতি করে ব্যবহার করা হয়েছে যা ব্যাংকিং আইনের লংঘন। এবিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে ভূক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আঃ হালিম বলেন, অতিরিক্ত মূল বেতন ও বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিতে আমি ফিরোজ আলমের কাছে গেলে তিনি আমার কাছ থেকে ৩৪,৬৯৫ টাকা নিয়ে অফিস খরচ বাবদ আরও অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন সব মিলে আমি তাকে ৫১হাজার টাকা দেই। ব্যাংক জমা দেখিয়ে ফিরোজ আলম আমাকে একটি চালান কপি দেয়। যেটি সোনালী ব্যাংকে দেখালে তারা আমাকে জানায় এটি সম্পুর্ণ ভূয়া। জাল জালিয়াতি করে এই চালান কপি বানানো হয়েছে। পরে আবার ২৫ শে জুন ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আরও একটি চালান কপি দেন। আমি ব্যাংক কর্মকর্তা বরাবর ব্যবস্থা নিতে একটি লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি আরও বলেন, ফিরোজ আলম টাকার বিনিময়ে সব কাজ করেন। টাকা ছাড়া কোন কাজই করতে চান না। আমি এর বিচার চাই।
এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষা অফিস সহকারী ফিরোজ আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বসের সাথে আলোচনা করেন। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা পারভিন বলেন, আমি এবিষয়ে কিচ্ছু জানি না। জানলে কি আর এরকম হতে দেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, শিক্ষকরা অভিযোগ দেয়ার পরে জেনেছি। আমি ঢাকা একটা মিটিং এ আছি, পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.