ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সোমবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আ. হালিম।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাপ গ্রামের কমল চন্দ্র শীলের ছেলে দীপক শীলের (২১) সাথে নবম শ্রেণির ঐ বিয়ে সম্পাদনের আয়োজন করা হয়েছিল। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আ. হালিমকে বে-আইনি বিবাহ বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেন। বিকাল সোয়া ৩টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ. হালিম। একই সাথে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে আর বাল্যবিবাহের উদ্যোগ নিবে না বলে মুচলেকা দেন। মেয়েকে তার বাবা- মার জিম্মায় দেওয়ার পাশাপাশি উপস্থিত গ্রামবাসীকে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয় এবং সচেতন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, নবাবগঞ্জ থানার পুলিশসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আ. হালিম বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান স্যার যেকোন মূল্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনার প্রদান করেছেন। আমরা সেই লক্ষে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, বর ও কনের পরিবারকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে আসা হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.