ধর্মীয় ভাবগম্বীর্য আর উৎসবের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তায় আড়ম্বর আয়োজনে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহারে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিনে ফিলিস্তানের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল। বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। শুক্রবার রাতে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিবতা। শনিবার সকালে প্রতিটি গির্জায় শুরু হয় প্রার্থনা। সেই প্রার্থনায় পরমেশ্বরের কাছে নশ্বর জীবনের নানা ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চান প্রার্থনার জন্য সমবেত খ্রিস্ট ধর্মবলম্বীরা। করোনামুক্ত ও জড়ামুক্ত বাংলাদেশের প্রার্থনা তাদের।
বড়দিন উপলক্ষে গীর্জা ও উপধর্মপল্লিগুলোকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গীর্জার ভেতরে করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে। মা মেরির প্রতিকৃতি ছাড়াও গোয়ালঘরে শিশু যীশুকে ফুটিয়ে তোলা হয়। ঘরে ঘরে ঝলমল আলোকসজ্জা আলোকিত হয়ে উঠে প্রতিটি ঘর। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, রকমারি নকশার রঙিন কাগজ, জরি, চেইন, আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয় গির্জাঘরগুলো। সেই সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে অতিথিদের আপ্যায়নে কেক আর পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়। বড়দিনের উৎসবের ঢেউ লেগেছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও।
এছাড়া সান্তা ক্লজের কাছ থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে মহাখুশি শিশুরা। লাল পোশাক, লাল টুপি পরা সাদা ধবধবে দাড়ি ভ্রু ওয়ালা সান্তা ক্লজ শিশুদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। উপহার পেয়ে শিশুদের বড়দিনের আনন্দ বেড়ে যায়।
নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ জপমালা রানির গীর্জার ফাদার স্ট্যানিসলাউস বলেন, বড়দিনের প্রার্থনা হচ্ছে মানুষের মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ববোধ গাঢ় হয়, পৃথিবী থেকে যেন অস্থিরতা দূর হয় এবং সবার মধ্যেই যাতে শান্তি বিরাজ করে। সেই সাথে করোনামুক্ত হোক পৃথিবী এমন প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.