নাব্যতা সংকটে অচল হতে বসেছে ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর নৌ-পথটি। চলতি শুষ্ক মৌসুমে ঢাকার দোহার ও ফরিদপুরে চরভদ্রাশন উপজেলার গোপালপুরের পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। নদীর মাঝে জেগে ওঠা ছোট-বড় অসংখ্য ডুবোচরের কারণে পণ্যবাহী জাহাজ, কার্গো, লঞ্চ ও বড় ট্রলার এমনকি স্প্রিডবোর্ড চলাচল মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা এসব পণ্যবাহী জাহাজ দোহারের মৈনটঘাট হয়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট নৌবন্দরে যেতে খানিকটা বেগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে ডুবোচরের কারনে মালামাল নিয়ে ঘাটে এ পথে যেতে পারছেনা মাঝারি কিংবা বড় জাহাজ। জাহাজ চলাচলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীরতা প্রয়োজন হলেও কোথাও গভীরতা রয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ ফুট। ঠিকমত গন্তব্য এসম নৌযান চলাচল করতে না পারার কারনে পণ্য খালাস করতে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে ।
প্রতিদিনই দোহারে মৈনটঘাট হয়ে ফরিদুপুর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ফরিদপুর সহ আশেপাশে জেলাগুলো যেতে এ নদী পথটি ব্যবহার করেন হাজার হাজার মানুষ। আবার ফরিদপুর, রাজবাড়িসহ দক্ষিণাঞ্চলের কিছু মানুষও ঢাকা যেতে বিকল্প পথ হিসেবে এ নদী পথটি ব্যবহার করেন। কিন্ত নদীর নাব্যতার কারনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচল নদীযানকে। দীর্ঘপথ ঘুরে গন্তব্যে পৌছানোর কারনে নস্ট হচ্ছে যাত্রীদের কর্মঘন্টা। ড্রেজিং এর ধীরগতির অভিযোগ তুলে দ্রুত নদী পথটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে গোপালপুর ঘাটের টিকিট কাউন্টারে থাকা সোহেল রানা জানান, আগে যেখানে যাত্রী ছিল প্রতিদিন গড়ে হাজার খানিক,সেখানে এখন চার থেকে পাঁচশত। এতে মারাত্বক খতির মুখে তারা। এদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাশন সরকারি কলেজের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকালে কলেজে আসা যাওয়া করি দেহারের জয়পাড়া থেকে। অথচ নাব্যতার কারনে আমাকে প্রায় দিন কলেজে যেতে দেরি হচ্ছে। আজ বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় মৈনটঘাট থেকে প্রতিদিন লঞ্জ ৯ টা ফরিদপুরের গোপালপুর আসা যাওয়া করলেও আজ চলাচল করছে ৩ টা। এতে হুমকির মুখে এ ব্যবসা।
লঞ্চ চালক রবিউল জানান, নদীর নাব্যতার কারনে আমরা লঞ্চ ঠিকভাবে চালাতে পারছিনা। এতে করে এ পথে যাত্রী কমে গেছে। ফলে ব্যবসায় ধস নেমেছে। এভাবে থাকলে দোহারের মৈনট ও ফরিদপুরের গোপালপুরঘাটে এ সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
মৈনটঘাট লঞ্চ ও স্প্রিডবোর্ট ইজারাদার বাশার মুন্সি বলেন, নদী নাব্যতার কারনে আার্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা সহ লঞ্চ ও স্প্রিডবোর্ড ব্যবসায়ীরা । ডুবোচরের কারনে এ পথের যাত্রী কমে গেছে বলে। দ্রুত নৌপথটি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন আশা করি।
বিআইডব্লিটিএ, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের কারিগরী সহকারী, ড্রেজিং সেক্টর আব্দুর রব সরদার বলেন, খনন কাজ চলমান আছে। দ্রুত নদীর খনন কাজ শেষ করতে পারলে দুর্ভোগ কমবে। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.