ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন শীতকাল। পৌষে শীতের ঝাঁকুনিতে অনেকে কাবু হলেও মাঘের ঝাঁকুনিটা এখনও লাগেনি সেভাবে। গেল কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ দেখে অনেকে ভিড় জমিয়েছিলেন লেপ-তোষকের দোকানে। ওই সময় লেপ তৈরির কারিগররা কিছুটা ব্যস্ত সময় পাড় করলেও গত এক সপ্তাহ ধরে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবেই সময় পার করছেন ধুনকাররা। তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে কম দামেই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে কম্বল, তাই লেপের বেচাকেনা নেই আগের মতো।
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পাড়া, বাগমারা সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি দোকানেই রয়েছে লেপ-তোষকের পর্যাপ্ত মজুদ। বিক্রেতা ও কারিগররা জানান, অন্যবারের চেয়ে লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামাল তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা চড়া। যে কারণে বেশি দামে লেপ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিকেজি সাদা গার্মেন্টস তুলা ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গার্মেন্টসর কালো তুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৬শ’ থেকে ৬শ’ ৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। লেপ তৈরির লালশালু কাপড় মানভেদে প্রতিগজ ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সব মিলিয়ে লেপ তৈরির খরচ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রির পরিমাণ খুবই কম।
এবার কার্পাস তুলায় প্রতি ডবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১২ থেকে ১৫’শ টাকা এবং সিঙ্গেল লেপ তৈরিতে ৭ থেকে ৯’শ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান দোকান ও ক্রেতারা। এদিকে ফুটপাত গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ২৫০-৩০০ মধ্যে নানা রকমের কম্বল।
তবে পৌষের শীতের ঝাঁকুনি যদি মাঘে এসেও লাগে তাহলে লেপ বিক্রির সুযোগটা কিছুটা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.