ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সম্প্রতি স্কুলটি সরকারিকরণ হওয়ার পর নামকরণ হয়েছে ‘জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ফি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সচেতন মহল সবার মাঝে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ এর কার্যালয়ে ফোন করেও জানিয়েছন অভিযোগ। জানতে চেয়েছেন এর বৈধতা সম্পর্কে। বিষয়টি নিয়ে প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ এর পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, সরকারি ঘোষণাকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অ্যাডহক নিয়োগ ও সরকারি বেতন না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরাও বেসরকারি আমলের নিয়মে টিউশন ফি প্রদান করবে। ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আগের নিয়মে দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা চাইবে শিক্ষা অধিদপ্তর।
সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের এখনো অ্যাডহক নিয়োগ দেয়া হয়নি, এমন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আগের নিয়মেই টিউশন ফি দেবে। গেল বছরের শেষের দিকে ২৯০টি কলেজ এবং ১১৩টি স্কুল সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দোহার উপজেলার জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ও রয়েছে।
জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম খালেক বলেন, সরকারিকরণের খবর পাওয়ার পর অভিভাবকরাও সরকারি নিয়মে টিউশনসহ অন্যান্য ফি দেয়ার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অমরাও সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা পাইনি এখনো। নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সরকারি হওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেভাবে আগের নিয়মে যাবতীয় বেতন বা ফি নিচ্ছে আমরাও সেভাবেই নিচ্ছি। এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা এলে আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.