কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঢাকার নবাবগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বৃষ্টিতে পুকুর ও জলাশয় পানিতে টুইটুম্বর। তলিয়ে গেছে নিচু অঞ্চলের ফসলি জমি। পানির বৃদ্ধির সাথে মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ ‘ঘুনির’ এর চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া মাছ ধরার অন্যতম বাঁশের তৈরী উপকরণ-ডারকি, পলি, ঘুনি, টেপারী, বুচুঙ্গা, চাঁই। মাছ ধরার জন্য পুকুর, জলাশয় ছাড়াও বাড়ির আশপাশেও ফাঁদ পেতে রাখা হয়।
বর্ষার পানিতে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। আর এসময় বাড়ির আনাচে কানাচে পানিতে টুইটুম্বর থাকে। এসব অঞ্চলের মানুষের জীবিকাও অনেকটা মাছ ধরার উপর নির্ভর করে। অনেকেই শখের বসেও মাছ ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখেন। মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ ঘুনি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুম জুড়ে ঘুনির চাহিদা বাড়ে। বর্ষায় মাছ ধরার উপকরণ হিসেবে অনেকেই ঘুনি কিনে রাখছেন। নিচু এলাকার ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতেই জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এতে বর্ষার আগেই মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়। পুকুর ভরে গেছে বৃষ্টির পানিতে। আর নদ-নদীতেও বৃদ্ধি পেয়েছে পানি। বর্ষায় মাছ ধরার উপকরণের চাহিদা বেড়ে যায়। বাঁশের তৈরি এসব ফাঁদ তৈরি করে মুক্ত জলাশয়ে পেতে রাখা হয়। ফাঁদগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা পড়ায় দিন দিন চাহিদাও বাড়ছে।
মাছ শিকারী মোশারফ হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভরে গেছে। নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ঘুনির মাধ্যমে মাছ ধরি। ছোট-বড় সব ধরনের মাছই এ ফাঁধে ধরা পড়ে।
আরেক এক মাছ শিকারী মনির হোসেন বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ফাঁদ পেতে মাছ ধরি। এবার ধিয়াল কিনেছি। প্রতিটি ঘুনির দাম ৬০০ টাকা। কখনো কখনো চাহিদা বাড়লে ৮০০ টাকায় কিনতে হয়।
মাছের ফাঁদ বিক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, বর্ষা এলেই ব্যস্ত থাকতে হয় বিভিন্ন রকমের ফাঁদ তৈরিতে। বাঁশ দিয়ে এসব ফাঁদ তৈরি করতে খরচ হয় ২০০-২৫০ টাকা। আর প্রতিটি ফাঁদ বিক্রি করতে হয় ৫০০-৮০০ টাকায়। পরিবারের সবাই এ কাজে সহযোগীতা করে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.