ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার গ্রামের ১২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তার রিপোর্ট মেলেনি এখনো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি যে গ্রামে বসবাস করতেন সে গ্রামটি মূলত লকডাউন করা হয়নি। ওই ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট ও আশপাশের ১২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার বাড়িতে যান। তার স্ত্রী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তার অসুস্থতার লক্ষণ শুনে আশপাশের ১২টি পরিবারকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেন ইউএনও।
ইউএনও বলেন, পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা। যেহেতু তার মৃত্যু আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় হয়েছে, তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তার বাড়ি এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের যেন বের হতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে সর্দি, কাশি ও প্রচ- শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ওই ব্যক্তি। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সোমবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন জানিয়ে ডা. শহিদুল বলেন, “তার এক প্রতিবেশী ইতালি থেকে ফিরেছেন। তাদের একসঙ্গে চলাফেরা করার তথ্য এসেছে আমাদের কাছে।
ওই বাড়িগুলোতে হোম কোয়ারেন্টানের ব্যানার ও লাল নিশানাও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কেউ নিয়ম না মানলে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.