1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের কর্মীদেরও দেখেছি তারা লাশ দাফন করছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ১০ মে, ২০২০
  • ১০৪৮ বার দেখা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা ভেবেই বন্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ শিথিল করা হচ্ছে। আমরা কিছু কিছু ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিছু জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা যাতে মানুষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। কারণ, এটা রোজার মাস।

তিনি আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার তাগিদ দিয়ে বলেন, অসুখ-বিসুখ হলে মনে সাহস রাখতে হবে। কেবল ডাক্তার এবং ওষুধেই রোগ ভালো হবে না। মনের জোর থেকে, আত্মবিশ্বাস থেকেও কিন্তু অনেকটা সুস্থ হওয়া যায়।

রোববার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৫৭টি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং ব্যক্তিবিশেষের পক্ষ থেকে প্রদান করা অনুদানের অর্থ গ্রহণকালে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা তথা পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা লাশ দাফন, রোগী টানা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজই করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা ছাত্রলীগের কর্মীদেরও দেখেছি। অনেক ক্ষেত্রে যেখানে লাশ দাফন করার কেউ নেই, তারা নিজেরা গিয়ে সেখানে লাশ দাফন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মানবিক গুণগুলো, এটাই হচ্ছে মনুষত্ব। আর এটাই আমাদের বাঙালির সব থেকে বড় পরিচয়। এই চরিত্রটাই সবার থাকা দরকার বলে আমি মনে করি। এ সময় তিনি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাতও কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব নির্দেশনা দিয়েছে- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, এক জায়গায় জটলা না করা- যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, সকলকেই সেটা মেনে চলতে হবে।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সঙ্গে সংযুক্ত হন। পিএমওতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস তার পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

সবাইকে মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার কষ্টের বিষয়টি উপলদ্ধি করেই সরকার ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বোরো ধান উঠেছে তাই খাবারের সেই কষ্টটা মানুষের হওয়ার কথা নয়। তিনি এ সময় পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে যারা বেশি ধান পেয়েছেন তারা কম ধান পাওয়া লোকজনকে যেন সাহায্য করেন, সেই তাগিদ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। এই কথাটা চিন্তা করেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

মানুষ মাঝে মাঝে এমন ভীত হয়ে যায় যে, অনেক অমানবিক আচরণও করে ফেলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন পরিবারের সদস্য যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার কী অসুখ হলো না জেনেই তাকে দূরে ঠেলে দেয়াটা ঠিক নয়।

তিনি বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে হাতে গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করে পরিবারকে সহযোগিতা করলে, এতে খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু সন্তান হয়ে পিতাকে দূর করে দেয়া বা স্ত্রী হয়ে স্বামীকে দূর করে দেয়া, বা মাকে দূর করে দেয়া- এটা কখনই কল্যাণকর নয়।

প্রধানমন্ত্রী এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করুণা ভিক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেহেতু রমজান মাস তাই সবাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কোছে বেশি করে দোয়া করেন। যাতে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাই, এই ভাইরাস থেকে মানবজাতি মুক্তি পেতে পারে। তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ নিয়মে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করারও অনুরোধ জানান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ