ঢাকার নবাবগঞ্জে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাসের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে উপজেলার কাশিমপুরে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পীরজাদা কমরেড মো. আসাদুল্লা এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তাগণ বলেন, খন্দকার আলী আব্বাস শ্রেণিহীন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছিলেন আপোষহীন। তিনি মনে করতেন জনগণই বিপ্লবের প্রধান শক্তি তিনি ছিলেন, সমাজ বিপ্লবের হাতিয়ার। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজীবন কৃষক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেন। সুবিধাবাদী ও লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার বিপ্লবী জীবন ও সংগ্রাম আগামীতেও বাম প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
এরআগে নবাবগঞ্জে প্রয়াত নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মাঃ লে), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড করম আলী, ঢাকা জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আজহারুল হক, কমরেড নাসির উদ্দিন বাহার, আসলাম খাঁন, সাইদুর রহমান, আব্দুল জলিল, নাসির উদ্দিন পল্লব, চঞ্চল মেম্বার, শ্রী শংকর, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুভাষ ঠাকুর, গণসংহতি আন্দোলনের মো. মিজানুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির শাহাদাত হোসেন ।
উল্লেখ্য, খন্দকার আলী আব্বাস ঢাকার নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ ঢাকার বিস্তির্ণ অঞ্চলে কৃষকসহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। দোহার নবাবগঞ্জ অঞ্চলে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠায় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রসারেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গঠনের আগে তিনি বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে ছিলেন।
আজীবন বিপ্লবী এই নেতা ২০১১ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.