ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ১৫ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সজল (৩৫) নামে স্থানীয় এক বখাটের বিরুদ্ধে। কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বখাটে সজল আড়াই বছর যাবত ধর্ষণ করছেন বলে অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগের পর থেকে অভিযুক্ত সজল পলাতক রয়েছে।
মেয়েটির বাবা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে আনুমানিক আড়াই বছর আগে আমার পরিবার নিয়ে সজলের নানা বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। সজলও পারবার নিয়ে ঐ বাড়িতে থাকতো। সুযোগ বুঝে খালি ঘরে পেয়ে আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ করে ভিডিও ও ছবি ধারণ করে। ভিডিও ও ছবি সবাইকে দেখাবে বলে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখাতো। পরে গ্রামের কাদেরের নির্জন কলা বাগানে ডেকে নিয়ে কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো।
তিনি বলেন, মেয়েকে মোবাইলে কথা বলতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে মেয়ে বলে আমি যা বলার পুলিশের কাছে গিয়ে বলবো। পরে গত ২২মে শনিবার মেয়ের ভাষ্যমতে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশে অভিযোগ করা হয়। এবিষয়ে ২৫মে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা রুজু হয়।
ভুক্তাভোগী মেয়েটি কিছুটা জড়তার সাথে জানায়, ধর্ষণের ভিডিও পরিবারকে জানাবে বলে ভয়ভীতি দেখাত। প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে মোবাইলে কল করে আমাকে ঐ নির্জন কলা বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতো সজল।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সজলকে আসামী করে মামলা করেছেন। বুধবার সকালে ধর্ষিতার পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.