ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে এক নারীর পঁচে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মানিক বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আগের রাতে (সোমবার) উপজেলার মডেল থানার বন্দ নজরগঞ্জ এলাকার একটি বাড়ির ৬ষ্ঠ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিউলি (৩০) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কৃষ্নপুর গ্রামের বাছিরের স্ত্রী। রাজধানীর রামপুরায় স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো সে।
এসআই হাবিবুর প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে জানান, সোমবার রাতে বাড়ীর লোকজন ওই তালাবন্ধ কক্ষ থেকে অনেক দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ওই নারীর গলায় গামছা পেঁচানো মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশটিতে পঁচন ধরেছে জানিয়ে হাবিবুর বলেন, ৩/৪ দিন আগে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী ও ভাই থানায় এসেছে। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে জানান, যে কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একাধিক ব্যক্তি থাকতো। তারমধ্য থেকে কারো সঙ্গে হয়তো ওই নারীর পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। ওই নারীর স্বামী তার সম্তানকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গেলেও যাননি তিনি। এ সুযোগে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছিলেন ওই নারী। এসময় কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে তাকে তার প্রেমিক হত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে ও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.