সব শ্রমিকের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাউনিয়াবাদ ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশ হয়।
মহান মে দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এই সমাবেশে পথ নাটক ‘একতাই শক্তি’ প্রদর্শিত হয়। এতে সহযোগিতা করে ক্রিশ্চিয়ান এইড। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও নারী শ্রমিক কণ্ঠের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হামিদা খাতুন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর প্রকল্প সমন্বয়ক হোসনে আরা নকিব, রাজীব আহমেদ, আফরিন তিথি, রিনা আমেনা, জারিন তাসনিম, প্রকল্প কর্মকর্তা হুরমত আলী।
প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় করেন আরো বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগন যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহানাজ, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাবেয়া আক্তার, গৃহশ্রমিক রাবেয়া, কারচুপি শ্রমিক ফাতেমা প্রমুখ।
নারী শ্রমিক কণ্ঠের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হামিদা খাতুন বলেন, আমাদের শ্রমিকদের দাবি আদায়ের এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবেন যারা শ্রমিক আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সবখাতের শ্রমিকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ জন্য তাদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক সুরক্ষায় তাদের প্রবেশাধিকারেরও দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয়। এই কাজের সঙ্গে মর্যাদা চান তারা। বেঁচে থাকার জন্য মজুরিও গুরুত্বপূর্ণ। তারা সব শ্রমিকের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, নারী শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা, ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশ এবং যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্র অনেক নীতিমালা করেছে। সেই নীতিমালার আলোকে আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.