করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আজ (সোমবার) থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষনা করেছেন। তবে জুন ক্লোজিং মাস হওয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। আগামী ১লা জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ১লা জুলাই থেকে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না এমন নির্দেশনার পর দোহার ও নবাবগঞ্জে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সোমবার দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা ব্যাংকেই গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। যেহেতু সামনে কঠোর লকডাউন তাই বেশির ভাগ গ্রাহকই টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছে। তবে গ্রাহকদের বেশিভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসিন। দীর্ঘ লাইনে পাশাপাশি দাড়িয়ে টাকা তুলতে দেখা যায় গ্রাহকদের। অনেকে মুখে মাস্কও ছিল না। ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার তাগাদা দিতে দেখা যায়।
ব্যাংকে সেবা নিতে আসা বেশিরভাগ গ্রাহকেই দাবি, যেহেতু সরকার আগামী ১লা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছে তাই নিজেদের প্রয়োজনীয় কিছু টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে রাখলেন। বলা তো যায় না, এই লকডাউন কতদিন থাকে। ভিড়ের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয় বলে জানান তারা।
বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকরা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে সে ব্যাপারে গ্রাহকদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ গ্রাহকই স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে উদাসিন। আমারও অনেকটা নিরুপায়, তবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। গ্রাহকদের সাথে তো আর খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। তবে গ্রাহকদের এমন উদাসিনতার কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকের কর্মকর্তারাও।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.