ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা ইউনিয়নে টিকারপুর এলাকার নমপাড়া সংখ্যালঘুদের ঘাটলা ও ইছামতি নদীর পাড়ের জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, টিকরপুর মৌজাস্থিত আরএস ৩৬৫নং দাগের সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন স্থানীয় বাসিন্দা প্রবাসী লুৎফর রহমান। তবে জমি পরিমাপ না করেই লুৎফর রহমান গংরা প্রভাব খাটিয়ে পাশে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীর পাড় ও গ্রামের নমপাড়া পঞ্চায়েত ঘাটলার জায়গা জুড়ে প্রায় ৭ শতাংশ জমি জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। বিষয়টি স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কাজ বন্ধ করেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতার হস্তক্ষেপে জমি সার্ভে করা হয়। তবুও মাপ উপেক্ষা করে আরও জায়গা বাড়িয়ে ফের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
জানা যায়, ঘাটলাটি শতাধিক বছরের পুরাতন। এ এলাকায় প্রায় দুইশতাধীক হিন্দু পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি স্থানীয়দের সুবিধার্থে সরকারিভাবে পাকা ঘাটলা নির্মান করে দেয়া হয়েছে। এঘটলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিবছর প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে থাকেন। তাছাড়া এ ঘাটলায় এলাকাবাসী গোসলসহ দৈনন্দিন কাজ করে থাকেন। অতিরিক্ত জায়গা দখল করে ভবনটি নির্মাণ হলে প্রতিমা বিসর্জনসহ দৈনন্দিন কাজের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। তবে প্রভাবশালী লুৎফর রহমান গংদের ভয়ে মুখ খুলছেন না বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এবিষয়ে লুৎফর রহমানের কাজ তদারককারী আব্দুল হামিদ দম্ভোক্তি করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন তথ্য দেয়া হবে না। কিসের কথা বলবো, কয়জনের সাথে কথা বলবো। যান অফিসে কাগজ দিয়ে আসছি। সেখান থেকে তথ্য নেন। এসময় উপস্থিত লুৎফর রহমানের বড় ভাই মহিউদ্দিনও কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাহার উদ্দিন কাজল বলেন, পরিমাপের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। তারা আমাদের কথা না শুনে উল্টো কাজ করছে।
আগলা ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মান করছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.