দক্ষিন কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় র্যাব-১০ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহরনের একদিনের মাথায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত মোহাম্মদ হোসেন (৪৩) কে উদ্ধার করেছে। এঘটনায় জড়িত থাকা মূলহোতা অপহরনকারী মোঃ রাজিব শেখ (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও এসময় অপহরনকারীর কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, মলমের কৌটা, মোবাইলসহ অপহরনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাধী উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অপহরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর মিডিয়া উইং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৩ মে সন্ধ্যার সময় ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন তার আতœীয়র বাসা তেঘরিয়া থেকে নিজ বাসা আব্দুল্লাহপুর ফেরার জন্য সিএনজিতে উঠে। সিএনজিটি দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীবেশে থাকা ৪ জন অপহরনকারী তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। এসময় ভিকটিমের চোখে বিশেষ ধরনের মলম প্রয়োগ করে চোখে কালো কাপড় বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। ভিকটিমের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এসময় ভিকটিমের মেয়ে ও ছোট ভাই র্যাব-১০ এর কাছে অভিযোগ করলে, র্যাব-১০ দক্ষিন কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার কোন্ডা ১০ শয্যা হাসপাতালের পিছনে বালুর মাঠে শাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে এবং অপহরনের মূলহোতা আসামী রাজিবকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ২ টি লোহার রড, ১ টি বড় চাকু, ১ টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১ টি পাটের রশি, ১ ট কালো কাপড়, ১ টি মলমের কৌটা ও ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব-১০ এর কেরানীগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, অপহরনের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-১০ এর একটি টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে সাড়ে তিনটার দিকে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা অপহরনকারীকেও গ্রেফতার করি পাশাপাশি অপহরনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাধী জব্দ করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী অপহরনের কথা স্বীকার করেছে এবং এ ঘটনায় আরো তিনজন জড়িত রয়েছে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.