1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

৩৯ দিন ধরে নিখোঁজ নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি পান্নু

ইমরান হোসেন সুজন
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৬ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই পান্নু’র হদিস নেই ৩৯ দিন ধরে। জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ বাসা হন তিনি। কিন্ত এখনও সন্ধান মেলেনি বিএনপি এ নেতা। এব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার ছেলে সিহাব তমাল।

সিহাব তমাল জানান, জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ ব্যক্তিগত কাজে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তার বাবা আজাদুল ইসলাম পান্নু। ৯ তারিখের মধ্যে বাসা ফিরে আসার কথা ছিল তার৷ কিন্ত মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার৷ ১০ তারিখ সিহাব তমাল নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেস্টা করা হলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও রাজশাহীতে একাধিকবার খোঁজ নেওয়া হলেও খোঁজ মেলেনি তার। এভাবে নানা শঙ্কায় এক মাসের উপরে অতিবাহিত হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি তার বাবার।

সিহাব তমাল আরো বলেন, বাবা রাজশাহী পৌছাছেন এব্যাপারে আমরা সিউর। বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতিসহ বিভিন্ন কারনে বাবার কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ ছিল। তবে তিনি অত্যন্ত চাপা স্বভাবের হওয়ার কাউকে কিছু বলতেন না। আওয়ামী লীগের সরকারের আমলেও বাবা মাঝে মাঝে আত্মগোপনে যেতেন রাজনৈতিক হয়রানির কারনে। কিন্ত এখন তো সেই পরিস্থিতি নেই৷ তবুও করো উপর অভিমান করে বাবা আত্মগোপনে গেলেন কি না এমন সন্দেহ রয়েছে আমাদের। ১ মাসের উপরে বাবা নিখোঁজ হওয়ায় আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত বাবাকে ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

জানা যায়, আজাদুল ইসলাম হাই পান্নু নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আগে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতির হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অত্যন্ত স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত বিএনপির এ নেতা আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন রাজনেতিক মামলায় আসামী হয়ে ৫ বারের বেশি কারাভোগ করেছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে গায়েবী মামলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন৷ তখনই নবাবগঞ্জ থানায় ৭দিনের রিমান্ড এনে নির্যাতন করা হয়। এমনকি সে সময় পরিবারের সাথে দেখাও করতে দেয়নি পুলিশ। এত নির্যাতনের পরও বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাড়াইনি ৭৬ বছর বয়সী এ রাজনীতিবীদ।

তার কয়েকজন সহকর্মী বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হলেও সব সময় সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। ৫ আগস্টের পরও তার চলাফেরা ছিল আগের মত। পুরো উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত ভাল মানুষ হিসেবে সুনাম রয়েছে তার। তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিখোঁজ এমন কোন তথ্যই জানেন না বেশির ভাগ বিএনপির নেতাকর্মী। অজ্ঞাতকারনে আজাদুল ইসলাম হাই পান্নু রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছে এমন ধারনা তাদের।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাজশাহী যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন৷ তবু জিডি হওয়ার পর থেকে আমরা তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের সকল থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে পারব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ