PRIYOBANGLANEWS24
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২:৩৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়

ভরা বর্ষা মৌসুম। ইছামতি নদীতে পানি কম। তবু ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ধাপারী, মাঝিরকান্দা ও সাদাপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে শনিবার ইছামতী নদীতে আয়োজন করা হয় বিশাল নৌকা বাইচ। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বড় বড় বাইচের নৌকা ও মাঝি-মাল্লার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর ছন্দ মাতিয়ে তোলে ইছামতির দুই তীর। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নারী পুরুষ এ দৃশ্য দেখতে ভিড় করে। শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতী নদীতে হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এ নৌ-র‌্যালি।

বাইচে দুপুর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ভিড় করে। আশেপাশ ও দূর-দূরান্ত থেকে নারী পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে নদীর তীরে জড়ো হন। বাইচে বিভিন্ন এলাকা থেকে সুসজ্জিত ঘাসী নৌকা অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলালপুরের মোহাম্মদ আলী মিস্ত্রী, মাঝিরকান্দার খান বাড়ি, শ্রীনগর আলমপুরের মামা ভাগ্নে,আগলার লিটন এক্সপ্রেস, দেওতলার শিকদার বাড়ি, কাউনিয়া কান্দি কাঞ্চন নগরের নীল তরী ও কৃষ্ণনগরের দাদা নাতী মোহন মণ্ডল বাইচে অংশ গ্রহণ করে । জোড়ায় জোড়ায় টান দেয় নৌকা ।

নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবির কথা জানান। দ্রুত ইছামতী নদী সচল করতে সোনাবাজু বেড়িবাঁধে প্রয়োজনীয় জলকপাট স্থাপন ও প্রতিটি জেলা উপজেলায় সরকারীভাবে নৌকা বাইচ আয়োজন করলে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। অন্যথায় নৌকা বাইচ খুব সহসাই বিলুপ্ত ঘটবে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালে এই বাধে পর্যাপ্ত সুইচগেট, ইছামতী নদীর ৭২ কিলোমিটার খনন করার দাবি জানিয়ে স্বারক লিপি দিয়েছি। তবে কবে তা আলোর মুখ দেখবে তা কেউ জানেনা। স্থানীয়রা সালমান এফ রহমান এমপির হস্তক্ষেপ কমানা করেন।

নৌকা বাইচ দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, একে অপরে বেশ কয়েকটি টান দিয়েছে। আমরা খুব আননৃদ পেয়েছি। এই ঐতিহ্য টিকে আজীবন।

নৌকাবাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক দুলাল দেওয়ান বলেন, নবাবাগঞ্জে নৌকাবাইচের ঐতিহ্য প্রায় শত বছরের। এক দশক আগেও ইছামতী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুরো ভাদ্র্র্র্র মাসজুড়ে নৌকাবাইচ হতো। কিন্তু এখন নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও কচুরিপানার কারণে বাইচে ভাটা পড়েছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে কচুরীপানা থাকায় এ বছর নৌকা বাইচ আয়োজন করা গেল না। আর এজন্য দায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০০১ সালে ইছামতী নদীর উৎপত্তিস্থল কাশিয়াখীতে বেড়িবাঁধ দেয়া হয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের অদক্ষতা ও অপরিপক্কতায় বাঁধের ইছামতী-পদ্মা নদীর সংযোগ স্থলে জলকপাট (স্লুইস গেট) স্থাপন না করে অন্যত্র স্লুইসগেট স্থাপন করা হয়। যে কারণে নদীটি আজ বিলুপ্তির পথে

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে: আমানউল্লাহ আমান

নবাবগঞ্জে বিএনপির একাংশের ত্যাগী নেতাদের মতবিনিময় সভা

৫ শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে নুরনগর মীরেরডাঙ্গী এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

নবাবগঞ্জে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ী হাবিবুর

নবাবগঞ্জে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন

নবাবগঞ্জে কাবাডি প্রতিযোগিতায় বারুয়াখালীকে হারিয়ে চূড়াইন তারিনীবামা চ্যাম্পিয়ন

আ.লীগ নেতার সাথে ছবি ভাইরাল করার অভিযোগে নবাবগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

দোহার ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের নির্বাচনী উঠান বৈঠক

নবাবগঞ্জে ইয়ুথ ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১০

দোহারে চালু হলো সরকারি অনুমোদিত ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র

১১

নবাবগঞ্জে শরৎকালীন নাড়ু উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

১২

নবাবগঞ্জ উপজেলা এসএসসি ৮৭ কমিটি গঠন: সভাপতি খন্দকার সবুজ, সম্পাদক মিলন

১৩

নবাবগঞ্জে কোরআন অবমাননাকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

১৪

নবাবগঞ্জে বন্ধুর স্মরণে বন্ধুদের স্মরণ সভা

১৫

নবাবগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

১৬

নবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

১৭

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলামের গণসংযোগ

১৮

নবাবগঞ্জে ৪ দফা দাবীতে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের মানববন্ধন

১৯

নবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

২০