নির্বাচনের খোঁজ নেই, কবে কখন হবে তারও ধারনা নেই কারো। এখনো ঘোষণা করা হয়নি নির্বাচনের তফসিল। অথচ সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই দোহারের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় চলছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলার সদর কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেঠোপথের আনাচে কানাচে চায়ের দোকানে সরব নির্বাচনী হাওয়া। চলছে উঠান বৈঠকের মত নির্বাচনী প্রচারনা।
নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থীদের নাম না শোনা গেলেও পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন নির্বাচনে ক্ষমতাশীন দলের একাধিক নেতাকর্মীদের নাম শোনা যাচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। কে হবেন পৌর পিতা, কে বা হবেন কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বারদের আসনে নেতৃত্ব দেবার ভরসা জায়গা।
এমন দোলাচলে উপজেলার বিলাসপুর, মাহমুদপুর, নয়াবাড়ি, নারিশা, মাহমুদপুর, মুকসুদপুর ও সুতারপাড়া ইউনিয়ন ও দোহার পৌরসভা এলাকায় চলছে নির্বাচনী প্রচারনা। বিভিন্ন স্থানে লাগানোর হয়েছে শুভেচ্ছা ব্যানার। যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে প্রচারণা। কে পাবেন দলীয় টিকিট বা সিনিয়র নেতাদের আর্শিবাদ। প্রার্থীরা সেই চেষ্টা করছে মাস খানেক ধরে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দোহার-নবাবগঞ্জের ইউনিয়ন নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে না হলেও নতুন বছরের ফেব্রুয়ারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় প্রচারনায় পিছিয়ে থাকতে নারাজ প্রার্থীরা।
বুধবার নির্বাচনী আমেজ দেখতে নয়াবাড়ি ইউনিয়নে যেতেই অনেক লোকের সমাগম দেখতে পাই। স্থানীয় নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নানকে দেখা যায় তার নির্বাচনী এলাকা দোহারের নয়াবাড়ি বাহ্রা এলাকায় একটি নির্বাচনী উঠান বৈঠক করছে।
বাহ্রা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর মাদবরের সভাপতিত্বে তার বাড়িতে এসময় অত্র এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠান বৈঠকে একট্টা হয়ে অংশগ্রহন করে। তাদের দাবি অত্র ইউনিয়নে পালতোলা নৌকার বৈঠা ধরবে ইউনিয়নের গত দুইবারের সফল চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান।
দোহারের পাশাপাশি নবাবগঞ্জের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থীরা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.