1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

এক আগুনে নিঃস্ব ওরা

ইমরান হোসেন সুজন
  • আপডেট : সোমবার, ১০ মে, ২০২১
  • ৬৭৭ বার দেখা হয়েছে

‘তিল তিল করে বাবা ব্যবসাটা গড়ে তুলেছিলেন। ওই মার্কেটে আমাদের তিনটি দোকান ছিল। একটিতে আমরা জ্বালানী তেল ও গাড়ির বিভিন্ন পার্টস বিক্রি করতাম। বাকি দুইটি দোকান ভাড়া দিয়েছিলাম। হঠাৎ আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। সব মিলিয়ে আমাদের ক্ষতি প্রায় ৪০ লাখ। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। জানি না এই ক্ষতি আমরা কিভাবে পূরণ করবো।”

খুব ধীরে ধীরে কথাগুলো বলছিলেন নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। গত ২৮ এপ্রিল বান্দুরা বাসস্ট্যান্ডের অগ্নিকান্ডে জাকিরের বাবার মালিকানাধীন ‘শাকিল ট্রেডার্স’ সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। অগ্নি দ্বগ্ধ হন জাকির।

সরেজমিনে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাঁয়ে ও বাম হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে শয্যাসায়ী জাকির। কথা বললেও কষ্ট হচ্ছিল তার। পাশে দাদীর কুলে বসে বাবার জন্য কাঁদছিলেন জাকিরের ছোট মেয়েটি। সেদিনের কথা জিজ্ঞাসা করতেই প্রথমে আতঙ্ক জাকিরের চোঁখে মুখে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে জাকির জানান, হঠাৎ দোকানের নিচ থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেখান থেকে আগুন আমার পাঁয়ে লাগে। এরপর মুহুর্তের মধ্যে সব শেষ। দোকানটি পুরো পুঁড়ে গেল আর দ্বগ্ধ হলাম আমি। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে করোনার কারনে এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। তিনদিন পর পর হাসপাতালে গিয়ে ড্রেসিং করতে হয়। অর্থনৈতিক, শারিরীক ও মানসিক সবদিক দিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। তিনি আরো বলেন, ঐদিনের পর আর মেয়ে দুটোকে কোলে নিতে পারি নাই। আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। তবে এখনো কোন ক্ষতিপূরণ পাইনি। ভূমি অফিস নাকি তালিকা করেছে। চিন্তায় আছি কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ করবো আমরা।

জাকিরের মা সালেহা বেগম বলেন, আর্থিকভাবে তো আমরা বিশাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। সেই সাথে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি। কয়দিন ধরে ছেলেটা আমার কত কস্ট করছে। ঠিক মতো দঁড়াতেও পারছে না। পাঁয়ের তালুতে মাংস নেই। দুইটি পাঁ আর বাম হাত ক্ষতিগ্রস্থ। সব শেষ হয়ে গেছে কিভাবে ছেলের চিকিৎসা করাবো সেই টেনশনে আছি। দিনভর বাবার জন্য দুই মেয়ে কান্না কাটি করে। ওদেরকে কি বলে শান্তনা দিব।

চুন্নুর পরিবার ছাড়াও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ইমরান জানান, ওখানে আমাদের দুইটি দোকান ছিল। আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে। দোকান দুটো আমরা এন. মল্লিক কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া দিয়েছিলাম। এঘটনায় আমাদের তিন থেকে চার লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ