নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ঢাকার দোহার ১৮ জেলেকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আটককৃত মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৩ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে এ সাজা দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার নারিশা, মধুরচর ও মৈনটঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে অভিযান চালিয়ে ১৮ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালত আটককৃত কাশেম মিয়া (২৫), তারা মিয়া ( ৫৫), আব্দুর রশীদ (৪৫), মুসলেম বেপারী (৫০), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), হারুন মিয়া (৫৫), শহিদ হাওলাদার (৪০), আসাদ হোসেন (২২) , আব্দুল করিম (২০) ও খোকন ফকির (২৩) কে এক বছর করে এবং ফয়জল মোল্লা (৬০), বাদল মিয়া (২৭), ফারুক মিয়া (২৭), সজিব বেপারী (২০) ও বাবুল শিকদার (৫০)’কে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সালাম মোল্লা (৫০), দুলাল শেখ (২০) ও সেকেন্দার হাওলাদার’কে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
একইদিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মৎ লুৎফুন্নাহার উপস্থিতিতে জব্দকৃত প্রায় ২ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে মৈনটঘাটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। উদ্ধারকৃত ১৫ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় প্রদান করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন দোহার কুতুবপুর নৌ-পুলিশ।
অন্যদিকে উপজেলার নারিশা এলাকা থেকে সোমবার রাতে মো. কামাল (২৮), আলামিন (৪০), সাগর ফকির (৩০), আয়নাল বেপারী (৫৫) ও মজিবুর বেপারী ( ৫০) নামে পাঁচ জেলেকে আটক করে নৌ-পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ সংশোধনীয় ১৩ এর ৫এর ২ খ ধারায় দোহরের কুতুবপুর নৌ-পুলিশের এএসআই মো. জসিম বাদি হয়ে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে নৌপুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন নৌ-পুলিশের ঢাকা জোন এর এএসপি আবুল কালাম আজাদ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.