ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার রোডে তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ইজারা বন্ধে ঢাকা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিল নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক রাশিম মোল্লা। রোববার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার রোডে তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ওপরে ৩০ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। কৃষকের কথা চিন্তা করে ইজারা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটি। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তুলশীখালীতে ধলেশ্বরী নদীর ওপর সাড়ে ৩শ’ মিটার দীর্ঘ এবং এর প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মরিচার ইছামতি নদীর উপর প্রায় একই দৈর্ঘ্যের মহাকবি কায়কোবাদ সেতু দুটি ২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর উদ্বোধন হয়। প্রথম দিন থেকেই টোল আদায় শুরু হয়। সেতু দুটির অবস্থান মুন্সীগঞ্জ জেলায় হলেও বেশি যাতায়ত ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মানুষের। প্রতিদিন অন্তত লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত এই সড়কে। সেতু দুটির ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টোল এ পর্যন্ত আদায় হয়ে গেছে।
সেতু দুটির ওপারে বহু মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এসব অঞ্চলের কৃষকদের ফলানো সবজি রাজধানী ঢাকা বাসীর চাহিদা পূরণ করে। এতদ অঞ্চলের কৃষি কাজ করতে গিয়ে কৃষকদের অনেক বেশি খরচ হয়। পর্যাপ্ত কাজের লোক না থাকার কারণে চরা মূল্যে দিয়ে জমিতে ফসল চাষ করতে হয়। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় আসার জন্য ট্রান্সপোর্ট না থাকার কারণে অধিক মূল্যে ট্রাক ভাড়া করে সবজি গুলো আনতে হয়। এজন্য দুই সেতুতে টেল পরিশোধ করতে হয়। এসব নানা কারণে সবজির মূল্য বেড়ে যায়।
ছোট আকারের সেতু দু’টি টোলমুক্ত করার দাবিতে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনগুলো মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু কোন কাজই হয়নি। অবশেষে ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন আন্দোলনের সময় প্রশাসন টোল আদায় বন্ধ করতে বাধ্য হন।
এই অঞ্চলের প্রায় সব সামাজিক সংগঠনগুলোও এই সেতো দুটির টোল আদায় বন্ধ করার ব্যাপারে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
মন্তব্য করুন