ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নুরনগর মীরেরডাঙ্গী নুরে-মদিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ক্রয় ও দানকৃত ১১ শতাংশ জমির উপর বালু ভরাটের বিরোধীতা করে হোসেন তুষার নামে এক দলিল লেখক সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর লেখা ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বান্দুরা মীরেরডাঙ্গী ৮ সমাজের মাদবর ও মুরুব্বিরা। বৃহস্পতিবার রাতে নুরনগর ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের করেন তারা।
মাদবর মো. ফয়েজ অভিযোগ করে বলেন, তুষারের আপন চাচা খোরশেদ আলমের নামে রেকর্ডকৃত ১১ শতাংশ জমি থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি মাদ্রসার নামে ক্রয় করা হয় এবং পরে খোরশেদ আলম তার নামে থাকা আরো সাড়ে ৫ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করে দেন। পরে তুষারের উপস্থিতে মেপে সীমানা নির্ধারণ করে জমির উপর বালু ভরাট কাজ শুরু করা হয়। তবে সম্প্রতি তুষার তার ফেইসবুক আইডিতে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা লিখে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা সমাজবাসী এর বিচার চাই এবং সামাজিকভাবে তার শাস্তি দাবী করছি।
এসময় খোরশেদ আলম বলেন, আমি আমার রেকর্ডকৃত ১১ শতাংশ জমি স্বেচ্ছায় মাদ্রাসার নামে দান ও হস্তান্তর করেছি। এতে আমার ভাতিজা তুষারের আপত্তি কিসের এটা আমার বোধগম্য নয়। তা ছাড়া সে নিজে উপস্থিত থেকে মেপে জমি বুঝিয়ে দিয়েছে, তখন তো কোন কথা বলে নাই। অথচ সে আমার নামে জমির বিষয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে আমার সম্মান নষ্ট করেছে আমি এর বিচার চাই।
নুরনগর মিরেরডাঙ্গী নুরানী সংঘের ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান ক্লাব এ সব সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এসবের বিরোধীতা করা মানুষের কাজ না। তুষার যে সব কথা তার ফেইসবুক আইডিতে লিখে পোষ্ট করেছে তা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। কাজেই সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক তুষার বলেন, মাদ্রাসা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এটা ইসলাম মেনেই করা উচিত। ঐখানে আমার জমি রয়েছে। তারা আমার জমির সমাধার না করেই মাদ্রাসার কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে নুরনগর মীরেরডাঙ্গী নুরে-মদিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক ও ৮ সমাজের মাদবর ও মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য করুন