ফের ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনাবাজু- কাশিয়াখালী বেড়িবাধ পরিদর্শন করলেন পানি উনয়ন বোর্ডের চার কর্মকর্তা। এ সময় নবাবগঞ্জের সোনাবাজু ও দোহারের কার্তিকপুরে দ্রুত স্লুইচগেট স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য জোড় দাবি জানান সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম ও নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
রোববার বেরিবাধ পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকতের নেতৃত্বধীন চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। অন্যরা হলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ ওমর, সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন।
চার কর্মকর্তা নদীর পার পরিদর্শন করেন। পরে এই চার কর্মকর্তার কাছে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা ও নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক দুলাল দেওয়ান সোনাবাজু- কাশিয়ালী বেড়িবাঁধে এবং দোহারের কার্তিকপুরে বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য জোড় দাবি জানান। এই দুই সংগঠক বলেন, আমরা দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, আমরা জানি আপনারা দীর্ঘ দিন ধরে এই বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট স্থাপনের জন্য কাজ করছেন, আমাদের অফিসে গিয়েছেন। একটি প্রকল্প পাশ করতে এলাকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হয়। গত মাসে আপনারা আমাদের এডভাইজার মহোদ্বয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এডভাইজার মহোদ্বয়ের নির্দেশে আমাদের প্রতিনিধি দল এলাকাটি ভিজিট করেছে। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিক তিন পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এডভাইজার মহেদ্বয়ের কাছে প্রেরণ করেছি।
সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, আমরা এই বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এই নদীর পানি বুড়িগঙ্গার সঙ্গে মিলিত হবে। এবার এই বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট স্থাপন হবেই। আপনার একটু ধৈর্য ধারণ করে আমাদের টিমকে সহায়তা করবেন। প্রকল্প পাশ হতে কিছু প্রসিডিওর মেইনটেইন করতে হয়। কিছুদিনের মধ্যে আমাদের এডিবির প্রতিনিধি দল এখানে আসবে, আজকের মতো তাদের কাছেও বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাঁধে স্ল্ইুচগেট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দোহার- নবাবগঞ্জ কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপল মো. হাবিবুল্লাহ ও পল্লী চিকিৎসক ডা. আজাদ খান বেড়িবাঁধে অতি দ্রুত স্লুইসগেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন