নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আপনাদের সন্তান মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সব সময় আপনাদের কথা চিন্তা করতেন। দোহার-নবাবগঞ্জের অসহায় মানুষদের কল্যানে কাজ করে গেছেন সারাজীবন। তার মৃত্যুর পর আমি ‘নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেছি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির জন্য। আপনাদের সকল দূর্যোগে সব সময় পাশে থাকবে আমার স্বপ্নের নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন। রবিবার সকালে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পুরাতন বান্দুরার তালতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমা ইসলাম আরো বলেন, আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাদের সাথেই থাকতে চাই। নবাবগঞ্জের মানুষগুলোর মুখে হাসি দেখলে আমার খুব ভাল লাগে। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে তাই আপনাদের সেবা করতে পারছি। আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন সব সময় এভাবে দুর্যোগের সময়গুলোতে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব ইনআল্লাহ। একইদিন তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী, বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।
কম্বল পেয়ে খুঁশি ষাটোর্ধ আম্বিয়া খাতুন। হাসিমুখে বলেন, গতবারও সালমা ম্যাডাম একটা কম্বল দিয়েছিল। কিন্ত একটা কম্বলে শীত মানে না। আজও কি সুন্দর কালারের একটা কম্বল দিল। আজ রাতে আরামে ঘুমাতে পারুম।
বান্দুরায় কম্বল নিতে আসা সামসুল হক বলেন, বাবা আমি ভিক্ষা করে কোন মতে সংসার চালাই। অসুস্থ তাই হাটতে পারি না। অসুস্থ শরীরে শীতে খুব কষ্ট হয়। সালমা আপা তো প্রতিবছর আমাগো কম্বল দেয়, আবারো আশায় আছিলাম, আজ আইছি কম্বল নিতে। সালমা আপা নিজ হাতে আমাকে কম্বল দিছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন ওনাকে শত শত বছর বাঁচিয়ে রাখে।
শীতার্ত মানুষের মাঝে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করছেন এই অঞ্চলের সুশীল সমাজের লোকজনও। তাঁরা বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জে অনেক ধনী মানুষ রয়েছে। কিন্তু কেউ দোহার নবাবগঞ্জের অসহায়দের কথা চিন্তা করেন না। সেদিক দিয়ে ব্যতিক্রম অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। তিনি দেড় যুগ ধরে দোহার ও নবাবগঞ্জের অসহায়দের পাশে থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন। নবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান তার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের নামে গড়ে তুলেছেন ফাউন্ডেশন। যার মাধ্যমে এ অঞ্চল সহ সারা দেশের অসহায় মানুষষের। সকল স্বচ্ছল ব্যক্তিরা যদি সালমা ইসলামের মত অসহায়দের কথা চিন্তা করতেন তাহলে দোহার নবাবগঞ্জের অসহায় মানুষদের দুঃখ থাকতো না।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.