ঢাকার দোহারে জীবিত মানুষকে মৃত বলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর করে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে এমন পরিস্থিতিতে পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধায় উপজেলার পৌরসভা খাড়াকান্দা এলাকার যুবক মোঃ আনোয়ার হোসেন বাড়ির পাশে একটি ডোবায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায়। সেখানে বড়শিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আনোয়ার। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে আহত অবস্থায় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আনোয়ারের পরিবারের দাবি, বাড়িতে নিয়ে আসার পর সে হাত-পা ও চোখ নাড়াচাড়া করে। এমন অবস্থায় ফের আনোয়ারকে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সাথে এ বিষয়ে বাকবিতন্ডা হয় রোগীর স্বজনদের। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের বর্হিবিভাহে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে জড়ো হয় বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রæত সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে অন্তত দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মো. লাইলাতুল আসিফ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধরা হাসপাতাল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে দোহার উপজেলা জেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মামুন খানও ঘটনাস্থলে আসেন।
নিহত আনোয়ারের লাশ রাতেই বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। আনোয়ারের বাবা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, হাসপাতালে আনার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিতে ব্যর্থ্য হয়েছেন তারা।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ইসিজি করার পরই রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারনে হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের একজন চিকৎসক আহত হয়েছেন।
দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা করেনি নিহতের পরিবার।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.