1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

১ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চল

সিনিয়র প্রতিদেক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ বার দেখা হয়েছে

মাত্র ১ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ঢাকার নবাবগঞ্জের শতাধিক বাড়ি। এতে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বরিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ ঝড়ের কবলে পড়েন নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

এতে উপজেলার বান্দুরা, নয়নশ্রী, বারুয়াখালী ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে গেছে। অনেক ঘরের চাল উড়ে গেছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতের লাইনের। ফলে সকাল পর্যন্ত বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বহু মানুষ।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকের বসতঘরের উপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছের ডালে ডালে ও বিভিন্ন ভবনের উপরে ঝুলে রয়েছে টিনগুলো। দোকানপাটের সাইনবোর্ডগুলো ভেঙে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। কারেন্টগুলো তার ছিড়ে রাস্তায় পড়ে থাকায় তা মেরামতে ব্যস্ত পল্লি বিদ্যুৎ এর লোকজন। রবিবারের দুপুরের পর থেকে বিরতিহীন ভাবে কাজ করার পরও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি পল্লি বিদ্যুৎ এর লোকজন। মাত্র ১ মিনিটের ঝরে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

শিকারীপাড়ার আবু সালেহ বলেন, সর্বোচ্চ ১ মিনিটের ঝড়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাড়িঘর-গাছপালা ভেঙে পড়েছে সব এলাকায়। এ কারণে অনেক জায়গায় এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের হাবিবুর বলেন, ঝড়টার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩০/৪০ সেকেন্ড। এতেই অনেকের ঘরের চাল উড়ে গেছে। গাছগাছালি ভেঙে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পুরো এলাকায়। এমন ঝড় অনেকদিন দেখি না। হঠাৎ ঝড় এলো আর সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল।

বান্দুরার মিলন হোসেন বলেন, তখন আনুমানিক বেলা সারে ১২ টা। বান্দুরা ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম ইছামতী নদীর পানি বাতাসের সাথে উপরের দিকে উঠছে। এরপর মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে তুমুল ঝড় উঠে পশ্চিম দিকে বাতাসটি চলে গেল। আর সাথে সাথে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। চোখের সামনে এমন দৃশ্য রেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

বান্দুরার বাসিন্দা রেখা আক্তার বলেন, আমিও তখন বান্দুরা ব্রীজ পাড় হচ্ছিলাম। দেখি বাতাসে টিনগুলো উড়ছে। আর গাছগুলো ভেঙে পড়ছে। দেখে প্রচন্ড ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম, মনে হয়েছিল আমাদেরও উড়িয়ে নিয়ে যাবে।

নতুন বান্দুরার বাসিদা নিঝুম হোসেন বলেন, ঝড়ে আমাদের ২/৩ টা গাছ উড়ে ভেঙে গেছে। বুঝতেই পারলাম না, কি হলো মাত্র ১ মিনিটের সব শেষ।।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ