ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এম এ বারী বাবুল মোল্লা ও শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে লিখিত অনাস্থা দিয়েছেন দুই ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে লিখিত অনাস্থাপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দিয়েছেন তারা।
বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম,এ বারী বাবুল মোল্লার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ইউপি সদস্যরা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিধান থাকলেও তাদের স্বাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান তার ছোট ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ও চেয়ারম্যানের চাচা রাজ্জাক মোল্লাকে দিয়ে নামেমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেন। এছাড়া ভিজিডি, ভিজিএফ এর চাউল বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত ছিলেন, এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন নির্দোষ মহিলা গ্রাম পুলিশকে চাকুরিচ্যুত হুমকি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। তারা আরো অভিযোগ করেন, পরিষদে প্রতিমাসে সভা করার বিধান থাকলেও গত ৫/৬ মাস কোন মিটিং করেনি চেয়ারম্যান। নবগঠিত পরিষদের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নিয়ম থাকলেও অধ্যাবদি তা করেননি চেয়ারম্যান। পরিষদের আয়, হিসাব অস্বচ্ছতার পাশাপাশি গত ১ বছর যাবত সদস্যদের বেতন ভাতাই দেননি তিনি। টিআর, কাবিখা, কাবিটা এবং ১% বরাদ্দের প্রকল্প গুলোতে করেছেন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি হয়ে কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ। এতেও করেছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা। এসব অনিয়মের জন্য তার প্রতি সকল সদস্যরা অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অনাস্থাপত্র জমা দেন।
একই দিন উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যরা৷ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, নদী দখল ও পুকুর হতে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি, বিচার সালিশির মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করতেন চেয়ারম্যান। এছাড়া প্রতিমাসে পরিষদের মিটিং করার কথা থাকলেও তিনি ৬ মাস যাবত মিটিং করে নাই। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সদস্যদের মূল্যায়ন করেনি। পূর্বের সভাগুলোতে স্বাক্ষর করালেও বিগত ৬ মাসের সভাগুলোতে সদস্যদের কোন স্বাক্ষর না নিয়ে তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সেগুলো জমা দিয়েছেন৷ এছাড়া তিনি নানাভাবে জনগণকে অত্যাচার করেছে বলে জানান তারা।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহেল লিখিত অনাস্থা পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.