বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ঢাকার দোহারের জয়পড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যাপাড়া প্রধান শিক্ষক এসএম খালেক। রবিবার সকালে এসএম আব্দুল খালেককে তার রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলকারীরা। এসময় পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
রবিবার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে এসে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের সাথে সংহতি জানান প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে। এসময় শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস বর্জন করে মাঠে জড়ো হতে থাকে এবং তার পদত্যাগের দাবি জানান। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ব্যাক্তিগত সমস্যা কারন দেখিয়ে লিখিতভাবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেন প্রধান শিক্ষক এসএম খালেক। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, এ শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ছাত্রীদের সাথে শ্লীলতাহানী সহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। তার পদত্যাগের মাধ্যমে সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি তার আগের গৌরব ফিরে পাবে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুল খালেক প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও কোমলমতি ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। যা একজন শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারি না। আমরা চাই এ ধরনের লম্পট শিক্ষকের শুধু প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগই নয় তিনি যেন আর কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে না পারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।’
মেঘুলা মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও দোহার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অজয় কুমার রায় বলেন,‘তিনি যদি কোন দুর্নিতীর সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করে প্রমান হলে আইনের আওতায় আনা উচিত। এতে করে কেউ এ ধরনে কাজ ভবিষ্যতে করতে গেলে কয়েকবার চিন্তা করবে ভবিষ্যত পরিনতির কথা ভেবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রকিব হাসান বলেন, আমিও জানতে পেরেছি এস.এম খালেক প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দোহার উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন খান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং তার পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবেন বলে জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.