1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জের বান্দুরা স্ট্যান্ডে চাঁদা বন্ধের দাবীতে সিএনজি চালকদের মানববন্ধন

সিনিয়র প্রতিবেদক:
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ৩৪৮ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালকরা। বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে গাড়ী বন্ধ করে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের ঢাকা-বান্দুরা সড়কে প্রায় ৫০জন চালক এ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবীতে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

চালকদের অভিযোগ, বান্দুরা স্ট্যান্ড প্রায় অর্ধশতাধিক সিএনজি চলাচল করে। দিনে প্রতিটি গাড়ী থেকে ৫০টাকা করে চাঁদা নেয় ওই এলাকার কালা মামুন। এছাড়া বহিরাগত কোন সিএনজি এলে তাদের কাছ থেকে ১শ টাকা নিয়ে আগে সিরিয়াল দেয়া হয়। প্রতিবাদ করলে মারধরসহ সিরিয়াল পিছিয়ে দেয়ার শাস্তি দেয়া হয়।

সিএনজি চালক মো. মিলন, তোফাজ্জল হোসেন, আলীম মিয়া ও ইউনুস জানান, উপজেলার বান্দুরা সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে। প্রতিবাদ করলেই মারধরের শিকার হতে হয় চালকদের। সাজা হিসেবে সিরিয়াল পিছিয়ে দেয়া হয়। এর নেতৃত্ব দেন মামুন ওরফে কালা মামুন। কালা মামুন ও তার লোকজন এলাকার বাইরের অন্তত ১০টি সিএনজি চালকের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে সিরিয়ালে ঢুকিয়েছে। বলতে গেলে সিএনজি চালকদের স্ট্যান্ড থেকে বের করে দেয়া সহ মারধর করেন। এছাড়া টাকা না দিলে তাঁদের গাড়ী ওই সড়কে চলতে বাঁধা দেয়।

সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি মো. মিলন বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশী, যাত্রী কম হওয়াতে প্রতিদিন মালিককে জমার টাকা দিয়ে চলতে আমাদের এমনেই কষ্ট হচ্ছে। আমরা এধরনের চাঁদা থেকে মুক্তি চাই। আমরা এ ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে চাই।

বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বলেন, মামুন দীর্ঘদিন ধরেই সিএনজি চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। কিছুদিন আগে মামুন ও তার লোকজন সিএনজি চালকদের মারধরও করেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি যারা অন্যায়ভাবে কোন কিছূ করবে তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. মামুন @ কালা মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদা তোলার বিষয়ে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি হুকুম পালন করি মাত্র। স্থানীয় দুজন জনপ্রতিনিধির নির্দেশে আমি ও আমার লোকেরা চাঁদা তুলে থাকে। এখানে আমার কোন দোষ নেই। তবে জনপ্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ইজারার বাইরে কেউ চাঁদা নিতে পারবে না। এ রকম কিছু করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ