দুই চোখে শুধু সবুজ আর সবুজ। এক পাশে বয়ে চলা ভয়ংকর উত্তাল, সর্বনাশা আগ্রাসী পদ্মা নদী। যে পদ্মানদী এক সময়ে দোহারের হাজারো মানুষের স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করেছিলো, সেই পদ্মা পাড়েই মিলিত হয়েছিলেন স্বপ্নভাঙ্গা মানুষগুলো। বিচ্ছিন্ন অরঙ্গবাদবাসী হাজারো ব্যাস্ততাকে পেছনে ফেলে একটি দিনের জন্য এক হয়েছিলো তারা। এক সাথে খেলাধুলা, হাতে হাত, চোখে চোখ,গল্প আড্ডা আর আনন্দে মেতে উঠে মিলন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা। এ যেন এক ‘আজ আমাদের ছুটি’। যে ছুটির দিনে থাকবেনা ব্যবসায়িক কোনো দেন দরবার, অফিসের ফাইল ঘাটাঘাটি,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ততা অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ন সময়ের পিছনে ছুটে চলার তারাহুরো। দিনটি শুধু হবে প্রিয় জন্মভৃমিতে সব মুখগুলো এক হয়ে নিজেদের সুখ দুঃখ ,হাসিকান্না ভাগ করে নেবার মনমানসিকতার।
শুক্রবার এমনই এক পরিবেশে ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি অরঙ্গবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সামাজিক অরাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজনে হয়ে গেল পদ্মানদীর তীরে দিনব্যাপী অরঙ্গবাদবাসীর মিলন মেলা। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মানুষগুলো কাছে পেয়ে সবার চোখে মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। সকল দুঃখ বেদনা ভুলে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন অরঙ্গবাদবাসী।
মিলন মেলায় বিভিন্ন ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এসময় অরঙ্গবাদ এলাকাবাসী বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডকে অব্যাহত রাখতে অরঙ্গবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন।
সংগঠনের কমিটিতে মোঃ আমিনুর খানকে সভাপতি ও মোঃ রাজিব হোসেনকে সাধারন সম্পাদক, খোরশেদ আলমকে কোষাধ্যক্ষ ও উজ্জল আফসানকে প্রধান সমন্বয়কারী করে একটি কমিটি ঘোষনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তরুন। এসময় তিনি অরঙ্গবাদের সন্তান হিসেবে সারাজীবন এই মানুষগুলোর সুখে দুখে পাশে থাকতে চান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদ মিয়া ও নয়াবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর খান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.