ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তেঘরিয়া ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম গং এর ভ‚মি দস্যুতা ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ তুলে সম্মেলন করেছে তেঘরিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তেঘরিয়া বেড়া এলাকায় ভুক্তভোগী স্থানীয় মেম্বার ও তেঘরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভক্তুভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, গত রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সময় সেলিম বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। সেই হামলায় জাহাঙ্গীরের ২ ভাগিনাসহ মোট ৪ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাজ্জাদ ও শাহাদাত এর অবস্থা আশংকা জনক। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে সেলিম ব্যাপারী, ডালিম ব্যাপারী, নাজিম ব্যাপারী, মৃদুল, এসহাক নবী, জাহের, রাজা ও সোহেলকে আসামী করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করে। ঘটনার ২ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা। তারা দ্রæত আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানায়।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম মুঠোফোনে জনকন্ঠকে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোটায় ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বেড়া এলাকায় এক গরীব মানুষকে একটি টং দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার শুরু হয়। আমি সেই গরীব নিরীহ লোকে পক্ষে কথা বলায় তারা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও বানোটায় অভিযোগ তুলেছে। দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটি আমাদেরই অফিস, সেখানে কেন ভাংচুর করবো। সুষ্ঠু তদন্ত হলে এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তেঘরিয়া ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান সওদাগর, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি রুনা বেগম, বাবুল সওদাগর, আসাদ মিয়াসহ আরো অনেকে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জামান ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, মামলা হওয়ার পর আসামীরা গা ঢাঁকা দিয়েছে, তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.