ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাটে ১০নং বিট মাহমুদপুর ইউনিয়ন ও দোহার থানার আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার এ সভার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আশরাফুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তফা কামাল, মাহমদুপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আইয়ুব আলী, চর মাহমুদপুর ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম, কুতুবপুর নৌ পুলিশের ইনচার্জ এসআই জহুরুল ইসলাম।
এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, ব্যবসায়ীগণ, অটোরিকশা, সিএনজি চালক, বাস চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার ম্যানেজার, জেলে, স্পিডবোট ও ট্রলার চালকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা আহবান করে নিম্নলিখিত নির্দেশনাসমূহ প্রদান করেন-
১. সকলকে ঘাটের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ সকল আবর্জনা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ধ্বংস করতে হবে। ঘাট ও নদীর পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না।
২. আগত পর্যটকদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে, কোনভাবেই তাদেরকে হয়রানি করা যাবে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা হয়রানি করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
৩. অটোরিকশা/সিএনজি চালকগণ পর্যটক/যাত্রীদের নিকট ন্যায্যভাড়া নিবেন। অপরিচিত যাত্রীর দেয়া কোন খাবার খাবেন না। দূরে বা নির্জন পথে গেলে অবশ্যই যাত্রীদের পরিচয় তথ্য নিয়ে যাবেন, সেই তথ্য নিকটজনদের কাছে শেয়ার করবেন এবং কোন কিছু সন্দেহ হলে স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিবেন।
৪. বাসে কোন অপরিচিত যাত্রীর দেয়া কোন কিছু খাবেন না। পথিমধ্যে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ কোন হয়রানি করলে দ্রুত নিকটস্থ থানাকে জানাবেন।
৫. নৌপথে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সন্ধ্যার পরে বা নির্ধারিত সময়ের পরে কোনভাবেই কোন লঞ্চ/স্পিডবোট যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে নির্ধারিত সময়ের পর পর্যটকগণও থাকবেন না এজন্য স্থানীয় দোকানদার ও পুলিশকে তৎপর হতে হবে।
৬. ঘাট বা এর আশে পাশে কোনভাবেই মাদক সেবন করা যাবে না। এধরনের অভিযোগ আসলে বা তথ্য প্রমাণ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭. যারা জেলে আছেন তারা সরকার নির্ধারিত নিয়মাবলি মেনে নদীতে মাছ মারবেন যাতে পদ্মায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া অত্র এলাকায় পুলিশ ফাড়ি হওয়ার পর চুরি/ডাকাতি/ছিনতাই কমে যাওয়ায় উপস্থিত সকলেই ফাড়ি ও দোহার থানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.