ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান তার পরিবার এবং চাকুরী জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। সোমবার নবাবগঞ্জ থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরী করেন বলে জানা যায়। জিডি নং ২৬৮।
জিডিতে ইউএনও উল্লেখ করেন, নবাবগঞ্জের হযরতপুর মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ব্রজ নিকেতন দখল মুক্ত করার পর সেখানে পালিত মালিকবিহীন হরিণগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে হস্তান্তর করি। তার আগে জানতে পারি জনৈক খন্দকার আবুল হোসেন কর্তৃক প্রাপ্ত হরিণ পালনের লাইসেন্স বিগত ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারী স্থগিত করা হয়েছে। তিনি লাইসেন্স স্থগিত সিদ্ধান্তের পূণর্বিবেচনা চেয়ে সচিব, পরিবশে, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রনালয় বরাবর আপীল আবেদন দায়ের করেন। গতকাল ৫ মার্চ বিকাল ৩টায় সচিব মহোদয়ের অফিস কক্ষে আপিল শুনানীতে আমি সরকার পক্ষে উপস্থিত ছিলাম। শুনানীর এক পর্যায়ে খন্দকার আবুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি কিভাবে নবাবগঞ্জে চাকরি করি সেটা দেখে নেবেন এবং ভবিষ্যতে আমার, আমার পরিবারের ক্ষতি করবেন বলে প্রকাশ করেন। সম্পূর্ণ ঘটনা পরিবেশ, বন ও জকবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সম্মূখে ঘটে। এসময় ঐ মন্ত্রনালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তীসহ বন বিভাগের শুনানী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আবুল হোসেন খন্দকার বলেন, আমি ইউএনও মতিউর রহমানকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.