ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে স্প্রীড বোট উল্টে সুকুমার হালদার (৬০) নামে এ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরেক যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। রবিবার সকালে উপজেলার মৈনট ঘাট এলাকায় এ র্দুঘটনা ঘটে।
নিহত সুকুমার ফরিদপুর সদর উপজেলার গৌ লক্ষিপুর গ্রামের সিরিজ হালদারের ছেলে এবং গুরুতর আহত মতিউর রহমান ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার জরিপের ডাঙ্গী গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই চরভদ্রাসনের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে দোহার উপজেলার মৈনটঘাট থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে চরভদ্রাশন যাওয়ার সময় একটি স্প্রীডবোর্ড উল্টে সুকুমার হালদার নামে এক যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্বরত চিকিৎসক সুকুমার হালদারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মতিউর রহমান নামে আরেক যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি যাত্রীদের জীবিত উদ্বার করে নৌ পুলিশ ও স্থানীয়রা।
নিহত সুকুমারের ছেলে স্বাধীন হালদার জানান, গতকাল শনিবার সকালে তার বাবা দোহারের নুরুল্লাপুর মেলায় আসেন। সারা রাত মেলায় থেকে রবিবার সকালে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে মৈনট ঘাট থেকে রওনা দেন। মাঝপদ্মায় স্প্রীড বোট উল্টে গেলে সুকুমার সহ অন্যরা নদীতে পড়ে যায়।
অন্যদিকে একই দিন নুরুল্লাপুর দরবার শরিফ আসার সময় ও দরবার থেকে ফেরার সময় দুই ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে আরেকটি ট্রলার উল্টে যায়। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ থাকলেও পরবর্তিতে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা জেলা নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মো. দিলওয়ার হাসান বলেন, মৈনট থেকে চরভদ্রাশন যাবার সময় স্প্রীডবোট উল্টে যাওয়ার ঘটনায় একজন মারা গেছেন। এছাড়া পৃথক ঘটনায় নুরুল্লাহপুর দরবার শরীফে আসার সময় ও দরবার থেকে যাবার সময় দুই ট্রলাররের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ট্রলার উল্টে যায়। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের সবাইকে জীবিত উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.