1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করল প্রশাসন

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯৭ বার দেখা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর বেসরারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের নির্দেশে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় কলাকোপায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে দখলে থাকা ‘ব্রজ নিকেতন’ নামে বর্তমানে ‘জর্জ বাড়ি’ খ্যাত বাড়িটি দখলমুক্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। ৩১ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে বাড়িটি দখল মুক্ত করে ‘ইহা সরকারি সম্পত্তি’ এবং বিনা অনুমতিতে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ নোটিশ টাঙিয়ে দেয়া হয়। বাড়িটির সামনে ও চারপাশে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাহাড়া বসানো হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সুত্রে জানায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর তীরে তৎকালীন জমিদার ব্রজেন রায় ওরফে সুদর্শন রায় প্রায় দুইশ বছর পূর্বে ব্রজ নিকেতন নামে প্রসাদটি নির্মিত। এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্পিত সম্পত্তি তালিতাভূক্ত। হযরতপুর মৌজাস্থিত অর্পিত সম্পত্তির কেস নং ১২৮৩/৬৭ ও ৩৪৭/৮৫ এর আওতাধীন এস,এ ২৯,২৮ ও ২৭ নং দাগে ১ একর ৫৫ শতাংশ ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে গেজেটভূক্ত রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক, তার সহোদর অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আবুল হোসেন, আবুল কালাম খন্দকারসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন অবৈধভাবে এই ‘ব্রজনিকেতন’ দখলে রেখেছিল। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সম্পত্তি সরকারের দখলে রয়েছে।

এ বিষয়ে উক্ত তফসিলভূক্ত সম্পত্তি মালিকানা দাবী করে খোন্দকার আবুল কালাম বলেন, এটি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভূলবশতঃ ২০১২ সালে অর্পিত তালিকাভ‚ক্ত হয়েছে। অবমুক্ত চেয়ে অর্পিত ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছি। মামলা চলমান।

দখল কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, যেহেতু এটি সকারি সম্পত্তি তাই প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান মনে করেন সরকারি সম্পত্তি সরকারের দখলে থাকুক এবং সেই সাথে ঢাকা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর বাড়িটির অবৈধ দখলদার থেকে মুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ পাহাড়ার বিষয়ে বলেন সেখানে কিছুদিন আগে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কারণে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাহাড়া বসানো হয়েছে।

উল্লেখ্য নবাবগঞ্জ উপজেলায় দুই হাজার একরের অধিক অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে বর্তমান নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মতিউর রহমান এবং সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. আ. হালিম যোগদানের পর গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস সময়ে প্রায় ৩৫ একর অর্পিত সম্পত্তি বে-আইনী দখলদারদের নিকট থেকে উদ্ধার করে আইন অনুযায়ী লীজ প্রদান করেছেন। এ থেকে সরকারের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে ভূমি অফিস জানায়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ