ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের ভাঙাভিটা এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ১৪৭জনকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের মধ্যে মাটি কাটার মূূলহোতা ৪ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বাকী ১৪৩ জন শ্রমিককে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম। ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগিতা করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মুন্সিগঞ্জজেলার সিরাজদিখান উপজেলার মো.শাওন (২৭), জুলহাস (৩০), রবিন ঢালী (২৮) ও মহিউদ্দিন(৩৫)।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজার ভাঙাভিটা এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। প্রশাসন থেকে গত সপ্তাহে ৭ ধারার নেটিশ জারি করা হয়েছে। তা সত্তেও ফসলি জমির মাটি কাটছে মাটিখেকোরা। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় অভিযান চালিয়ে ৭টি ট্রলারসহ ১৪৭ জনকে আটক করে করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম মাটি কাটার মূলহোতা মো.শাওন জুলহাস, রবিন ঢালী ও মহিউদ্দিনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। বাকী ১৪৩ জন শ্রমিককে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ।
নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মাটিকাটার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা প্রাপ্ত ৪জন আসামীকে মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম বলেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং মাটি কেটে নেয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.