ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের চুড়ান্ত সময়সূচী ঘোষনা অনুযায়ী ২৯ জুন বুধবার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনে যন্ত্রাইল ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি অনুপম দত্ত নিপু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য দলীয়নেতাকর্মীদের সাথে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।

জানা যায় অনুপম দত্ত নিপু ১৯৯৮-৯৯ ইং সালে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজ পথে থেকে দলের জন্য কাজ করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে যন্ত্রাইল ইউনিয়ন যুবলীগের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিরোধী দলের চাপের মুখে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন নিপু। পরবর্তীতে ২০০১ সালে তার বিরুদ্ধে বিএনপি রাজনৈতিক মামলা দেয়। রাজনীতিতে সক্রিয়ভূমিকা পালন করায় ২০১৩ সালে অনুপম দত্ত নিপুকে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।

এর পর ২০২১ সালে অনুপম দত্ত নিপু জনগণের পাশে থেকে সেবা করার জন্য নিজেকে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা ঘোষনা দেন। দেশের প্রথম ধাপে করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া বেকার, গরীব, অসহায় ও দুস্থদের পাশে বাড়ি বাড়ি মানবতার গাড়ি নিয়ে দাঁড়ান তিনি। এ ছাড়াও নিপু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় মারা যাওয়া মরদেহের সৎকার কাজে টিম গঠন করে টিম লিডারের দায়িত্ব নিয়ে মানব সেবায় অনন্য ভূমিকা রেখে কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়া তিনি হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা সুপার ভাইজার হিসেবে ও নিজ এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নবাবগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করে চলেছেন।

অনুপম দত্ত নিপু বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যদি আমাকে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দায়িত্ব দেন আমি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে সকলের সহযোগিতায় যন্ত্রাাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।

জানা যায় সম্মেলনকে ঘিরে যন্ত্রাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যায়। তার পরও অনেকে মনে করছেন দলের সিদ্ধান্তই বড় সিদ্ধান্ত। দল যে সিদ্ধান্ত দিবে আমরা মেনে নিয়েই দলের জন্য কাজ করবো।