ঢাকার দোহারে গত দুই সপ্তাহে পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার বিলাসপুর, কুতুবপুর, হাজারবিঘা, দেবিনগর, কুলছুরি ও সুতারপাড়ার মধুরচর এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকার প্রায় ১১০ টি পরিবার ঘড় বাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার বাড়ির পাশ্ববর্তি অন্যের বাড়িতে নিয়েছেন মাথা গোজার ঠাই। এমন অবস্থায় অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
এছাড়া পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে দোহার উপজেলার পদ্মার তীরর্বতি, বিলাসপুর, মাহমুদপুর, মধুরচর, নারিশা ও মুকসুদপুরের বাসিন্দারা অনেকটা আতংকিত হয়ে পড়েছে। বিলিন হয়েছে অনেকের ফসলি জমি। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। ভাঙনের পাশাপাশি কখন ভয়াবহ বন্যায় রূপ নিবে তাই নিয়ে অনেকটা দুঃচিন্তা তাদের চোখে মুখে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এরই মধ্যে পদ্মার সমস্ত শাখা খালে ব্যাপকভাবে পানি ঢুকে পড়েছে। পদ্মার ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বলেন, আমরা খাদ্য চাইনা, আমরা বাঁধ চাই। অতি দ্রুত আমাদের সরকার থেকে বাঁধ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। এছাড়া নারিশার চরাঞ্চলের অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তাদের চলাচলের একমাত্র বাহন এখন নৌকা। পানিবন্দির কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে নানা দুর্ভোগ।
এ ছাড়া দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট এলাকাটি পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরভদ্রাশনের গোপালপুরঘাট ও দোহারের মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা কালকের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জায়গাটি সরিয়ে ফেলবো। এছাড়া এই র্পযটন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছে বিপাকে।
দোহার উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা মোবাশ্বের আলম বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দোহার-নবাবগঞ্জের এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক স্যার এর নির্দেশে ভাঙনকবলিত এলাকার ১১০টি পরিবারের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনা খাবারের প্যাকেট, দুই মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এরআগে সোমবার ভাঙনকবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের খোঁজখবর নেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.