রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, এই একটা দুঃখ থেকে যাচ্ছে। এখন আর সেই স্বাধীনতা নেই। আগে দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইমেলায় ঘুরে বেড়াতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশের এই বইমেলা- গ্রন্থমেলা বলেন আর বইমেলা বলেন, বইমেলা বলতেই একটু আপন আপন মনে হয় বেশি। এই বইমেলা বা গ্রন্থমেলা এটা আমাদের প্রাণের মেলা।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্টলে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বই মেলা।
এবার সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নানন্দিকভাবে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা প্রাঙ্গণ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের মেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। ১৫২টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ ছাড়াও ৬টি উন্মুক্ত স্টল রাখা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। আর ছুটির দিনে মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ গ্রন্থমেলা খোলা থাকবে।
‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ উদ্বোধনের পাশাপাশি এ অনুষ্ঠান থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.