প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিয়ে ছিলো তখন বিএনপি জামায়াত হাসাহাসি করে বলেছিলো কিভাবে দেশ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আজ ২০২১ সাল শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমে স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইসিটি উদ্যোক্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা ও ইনফো-সরকার(৩য় পর্যায়) প্রকল্পে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কানেক্টিভিটি ইদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৪৫০ ডলার। কিন্ত এখন মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে। উন্নত দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত যার যার অবস্থার থেকে সততার সাথে প্রধানমন্ত্রীর থাকা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব কেেরন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, কেন ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে ২১ বছর বন্ধুর খুনিরা এই দেশে শাসনের নামে শোষন করেছে, তাদের সময়ে কেন বাংলাদেশের উন্নয়ন হলো না। কিন্ত মাত্র ১২ বছরের মধ্যে তিনটি ম্যাজিকের কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে দরিদ্র রাষ্ট্র থেকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। এই তিনটি ম্যাজিক হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, দ্বিতীয় কারন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসীকতা ও তৃতীয় কারন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৎ, সাহসী ও দূরদর্শী। এ কারনে বাংলাদেশ এত দ্রুত এত উন্নত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে জ্ঞানচর্চার জন্য স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের জন্য বাংলাদেশে ৮ হাজার ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব পৌছে দিয়েছে সরকার। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। নবাবগঞ্জ উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন ২০২৩ সালে তা দৃশ্যমান হবে ইনশাল্লাহ। এ সময় মন্ত্রী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগসহ শুনেন এবং তা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
এর আগে মন্ত্রী শেখ কামাল আইটি পার্ক এর জন্য প্রস্তাবিত জমি ও হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থান পরিদর্শন করেন ।
পরে বিকেলে এমপি সালমান এফ রহমান যন্ত্রাইল ইউনিয়নে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
পরে উপদেষ্টা দোহারে উপজেলা পরিষদের ডরমিটরি উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া পরিষদের সভা কক্ষে নবাবগঞ্জ ও দোহারের বর্জ্য ব্যবস্থপনা নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্তি সচিব) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব আজিজুল ইসলাম,ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেকলীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কিসমত, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফজলে রাব্বি বাপ্পী, নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অরুন কৃষ্ণ পাল, দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল ও নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ প্রমুখ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.